বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামের ফুসফুস হিসেবে পরিচিত সিআরবির প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার সফল সমাপ্তি ঘটছে। ইতোমধ্যে নানাভাবে সিআরবি থেকে প্রস্তাবিত হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প সরিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তবে শনিবার বিকেলে নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রাম আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে এর অনানুষ্ঠানিক ঘোষণা এলো।
বলা হয়, সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে না। এখানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে জাতীয় উদ্যান গড়ে তোলা হবে। ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠ থেকে হাসপাতাল প্রকল্প সরিয়ে নিয়ে সেখানে উদ্যান গড়ে তোলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন।
মহাসমাবেশের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, চট্টগ্রামবাসী ৪৮৩ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। সংসদ সদস্য হিসেবে একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম। চট্টগ্রামের যত সংসদ সদস্য আমরা একটা দরখাস্ত লিখলাম রেলমন্ত্রীর উদ্দেশে। সব এমপি-মন্ত্রী সিআরবিতে হাসপাতাল না করার সে দরখাস্তে স্বাক্ষর করেছেন। সে দরখাস্ত নিয়ে আমরা রেলমন্ত্রীর কাছে গেলাম। সঙ্গে তথ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষা উপমন্ত্রীও ছিলেন। সেটি আমরা হস্তান্তর করি। প্রধানমন্ত্রীও একমত হবেন। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন কথা দিয়েছেন এখানে হাসপাতাল হবে না।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ টেলিফোনে যুক্ত হয়ে বলেন, আমরা রেলমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলাম। রেলমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়গুলো অবহিত করার পর তিনি বলেছেন, পরিবেশ প্রকৃতি নষ্ট করে কিছু হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের আহ্বায়ক ড. অনুপম সেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সিআরবিতে বঙ্গমাতার নামে উদ্যান করা হোক। আজ এখান থেকে সিআরবিকে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব উদ্যান ঘোষণা করছি। আমরা জয়ী হয়েছি। জয়ী থাকব।
সমাবেশে আরও বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
বক্তব্য দেন নাগরিক সমাজ চট্টগ্রামের সদস্য সচিব ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, জাসদ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বাবুল, সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়া উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুস এবং বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী।