বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : যাত্রী হয়রানি কমাতে এবং সার্বিক পরিষেবার উন্নতির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা শহর ও আশেপাশের এলাকায় চলাচলকারী সব সিটি-সার্ভিস বাসকে ই-টিকিট সিস্টেমের আওতায় আনার পদক্ষেপ নিয়েছে।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিআরটিসি আগামীকাল থেকে গাজীপুর থেকে ঢাকার বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী ৭১টি বাসে ই-টিকিট সেবা চালু করবে। গত বছর ই-টিকেটিং সেবা চালু করা বিআরটিসি এখন পর্যন্ত আটটি রুটে এই ব্যবস্থা চালু করেছে।
বেসরকারি বাস অপারেটরদের আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব সিটি বাসকে সিস্টেমের আওতায় আনার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে শনিবার মিরপুর রুটে বাসের জন্য ই-টিকেটিং সেবা আংশিকভাবে শুরু হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত প্রায় সব প্রাইভেট বাসের হেলপাররা কোনো টিকিট না দিয়ে ম্যানুয়ালি বাস ভাড়া আদায় করে এবং অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে যাত্রী ও বাসের কর্মীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়।
কিন্তু ই-টিকিটিং ব্যবস্থায়, বাসের কর্মীরা পয়েন্ট অফ সেল (পিওএস) মেশিন ব্যবহার করে টিকিট দেয়, সরকার-নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট অনুসরণ করে যেখানে অতিরিক্ত চার্জ এবং ঝগড়ার জন্য সামান্য সুযোগই আছে।
গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ঢাকা ও আশপাশের সব রুটে পর্যায়ক্রমে সব বাসে ই-টিকেটিং সেবা চালুর ঘোষণা দেন। মিরপুর রুটের পরে, ৬০টি বাস কোম্পানি আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ই টিকেটিং সিস্টেম চালু করবে, এবং ৯৭টি কোম্পানি ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ই-টিকেটিং এর আওতায় তাদের বাস চালাবে। অর্থাৎ আগামী বছর ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঢাকা ও এর শহরতলীতে প্রায় ৫ হাজার ৬৫০টি বাস এই সিস্টেমের আওতায় আসবে।
বিআরটিসির বিআরটিসির মহাব্যবস্থাপক (অ্যাকাউন্ট) ও মুখপাত্র আমজাদ হোসেন বলেন, গাজীপুর থেকে চালিত ৭১টি বাসকে ই-টিকিটিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন গন্তব্যে আনার কাজ চলছে। ‘আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আমরা এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত সিটি সার্ভিস বাসকে ই-টিকিট পরিষেবার আওতায় আনার আশা করছি,’ বলেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিআরটিসি কর্মকর্তা জানান, ঢাকা মহানগর ও এর আশপাশের প্রায় ৪০টি রুটে ৩০০টির বেশি বিআরটিসি বাস চলাচল করছে। এছাড়া ৩০০টিরও বেশি বাস, যা সরকারি কর্মীদের পরিষেবা দিয়ে থাকে, তারা কাজের পর সিটি পরিষেবাও দিয়ে থাকে, যোগ করেন তিনি। বর্তমানে, বিআরটিসি ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য জেলায় ১৪০০ টিরও বেশি বাস পরিচালনা করছে, জানান এই কর্মকর্তা।