নিজস্ব প্রতিনিধি : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে এ দেশের নারী-পুরুষ নিজেদের জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। নারীরা পুরুষের পাশে কখনো সরাসরি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন, কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছেন। তাঁদের সহায়তা ছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হওয়া হয়ত সম্ভব ছিল না। অথবা স্বাধীন হলেও এই যুদ্ধ ৯ মাসে সমাপ্ত না হয়ে আরও দীর্ঘ হত এবং আরও অনেক মানুষকে জীবন দিতে হত। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁদের অবদানকে যোগ্য সম্মান প্রদান করতে হবে।
আজ (সোমবার) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মোঃ শামসুল হক টুকু, শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট, সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এসময় তিনি নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করেন
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত এবং তানভীর শাকিল জয়।
ডেপুটি স্পীকার বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব সবসময় রাজনীতিসহ সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে জাতির পিতাকে সহায়তা করেছেন। শেখ মুজিবুর রহমানের জাতির পিতা হয়ে উঠার পেছনে বঙ্গমাতার ভূমিকা অনস্বীকার্য। আর বঙ্গবন্ধুও সবসময় নারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় এবং জাতির পিতা ও তাঁর পরিবার, জাতীয় চার নেতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি কামনা করে দাড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয় । অনুষ্ঠানের আগে জেলা অডিটরিয়ামে জাতির পিতা ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর অালীর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে নব নিয়োগপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারের পিতা, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংঘটক এবং সিরাজগঞ্জ মহকুমা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রতুর সিরাজগঞ্জের বাড়িতে তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাবেক সংসদ সদস্য ও বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সেলিমা বেগম স্বপ্নার সভাপতিত্বে এবং সাংস্কৃতিক জোট, সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য বক্তব্য রাখেন। এছাড়া স্বাগত বক্তা অনুপ কুমার বড়ুয়া, ডেপুটি স্পীকারের একান্ত সচিব মোঃ আব্দুল মালেকসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।