বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : সরকারকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও তেলের দাম বাড়ানোর ক্ষমতা দিয়ে জাতীয় সংসদে বিল পাস হয়েছে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিদ্যুৎ, জ্বালনি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৩’ বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বর্তমান প্রক্রিয়ায় ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে গণশুনানি করে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ট্যারিফ সমন্বয় (মূল্যবৃদ্ধি) এবং প্রচলিত আইনে বর্ণিত প্রক্রিয়ায় মূল্য নির্ধারণে সময় বেশি লাগে বলে দ্রুততম সময়ে ট্যারিফ সমন্বয়ের লক্ষ্যে সরকারের ক্ষমতা সংরক্ষণের জন্য আইনটি সংশোধন করা হয়েছে।
এদিকে বিলটিকে জনস্বার্থবিরোধী উল্লেখ করে বিলটি পাসের প্রতিবাদে গণফোরামের মোকাব্বির খান সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন।
এর আগে জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব তুলে মুকাব্বির খান বলেন, বিদ্যুতের কালো আইন তুলে দিয়ে দেখেন দুর্নীতিবাজরা কোথায় পালায়? বিদ্যুতের কালো আইন হলো ওদের কর্মকাণ্ডকে দেওয়া ইনডেমনিটি। আশা করি, তিনি এটা প্রত্যাহার করে নেবেন।
বিলে বিদ্যমান আইনের ৩৪ ধারার (ক) উপ-ধারা (৩) এর সংশোধনীতে বলা হয়েছে, তবে শর্ত থাকে যে, কমিশন কর্তৃক প্রবিধানমালা প্রণয়ন না করা পর্যন্ত সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করতে পারবে।
এছাড়া বিলের ৩৪ক ধারা সংশোধন করে ‘ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয়ে সরকারের ক্ষমতা: সংশোজন করে বলা হয়েছে, এ আইনের অন্যান্য বিধানে যা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে, জনস্বার্থে, কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালি কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে উহাদের উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, পরিবহন ও বিপণনের নিমিত্ত দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুতকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করিতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতি বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও তেলের ট্যারিফ সমন্বয় করা প্রয়োজন। অর্থনীতির গতিকে চলমান রাখিবার স্বার্থে নিয়মিত ও দ্রুততম সময়ে ট্যারিফ সমন্বয়ের লক্ষ্যে বিইআরসির পাশাপাশি সরকারের ক্ষমতা সংরক্ষণের জন্য আইনটি সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বিষয়টি জরুরি বিবেচনায়, বর্ণিত বিষয়ে আশু ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে।