বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বায়ু দূষণ রোধে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় অসস্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেছেন, দূষণের মাধ্যমে মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে। বায়ু দূষণের হাত থেকে মানুষকে বাঁচান। রোববার বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে এ মন্তব্য করেন।
আদালত বলেন, উচ্চ আদালত বায়ু দূষণ রোধে যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন, তার ছিটেফোঁটাও বাস্তবায়ন হয়নি। অবৈধ ইটভাটাও বন্ধ করা হয়নি। দূষণের মাধ্যমে মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে। অনেকে বিদেশে থাকেন, তাদের ছেলে মেয়েরাও বিদেশে থাকেন। ঢাকার বায়ু দূষণে তাদের কিছু আসে যায় না। কিন্তু আমরা তো এ দেশেই থাকি। এ দেশেই থাকতে হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা যদি বাস্তবায়ন করা না হয়, পানি ছিটানো না হয়, তাহলে আমরা প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তলব করে ব্যাখ্যা চাইব। পরে আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে বায়ু দূষণ রোধে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন, পুলিশের আইজি, রাজউককে এই আদেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী আমাতুল করীম। ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি বায়ু দূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে সম্পুরক আবেদন করা হয়। পরে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরই ধারবাহিকতায় রোববার বিষয়টি শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসে।