নিজস্ব প্রতিনিধি : ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন । জাতীয় প্রেস ক্লাব এর সামনে ছাত্রলীগ নেতার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে মানববন্ধন করেন, সরকারী শহীদ সোহরাওয়াদী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী সাদিয়া খন্দকার বয়স ২১, পিতাঃ নজরুল ইসলাম, বাজিতপুর, জেলাঃ কিশোরগঞ্জ। বর্তমান ঠিকানাঃ এ/পি-৯০/এ দক্ষিন মুগদা মুগদা, থানাঃ মুগদা, ঢাকা । জাতীয় পরিচয় পত্র নং -৫১১৭১৯৬৮৮০, জম্ম তারিখ ১২/০৬/২০০২ ।
সরকারী শহীদ সোহরাওয়াদী কলেজের একজন ছাত্রী এবং শিক্ষা জীবনে বঙ্গবন্ধু আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সরকারী শহীদ সোহরাওয়াদী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসাবে সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি।
তিনি বলেন,সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততা থাকা এবং একই কলেজে পড়া ও একই সংগঠনের হয়ে কাজ করার সুবাদে, অভিযুক্ত মোঃরাকিবুল হাসান রাকিবের সাথে আমার পরিচয় হয়, এবং কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম আশিকের সাথে রাজনৈতিক বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ গ্রহনের সুবাদে আশিকুল ইসলাম আশিকের আমার উপরে কুনজর পড়ে। সে আমাকে বিভিন্ন সময়ে কলেজের সুন্দর সুন্দর মেয়েকে আশিকের একান্ত রুমে নিয়ে আসার কুপ্রস্বাব দিতে থাকে।
সাদিয়া বলেন, এই কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়, সে রাকিবুল হাসান রাকিব সহ বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন লোকের কাছে আমার সম্পর্কে অশ্লীন মন্তব্য ও অপপ্রচার চালায়। আমি এই অশ্লিন মন্তব্য ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে গত ০৯/০২/২০২৩ ইং তারিখ বিকাল আনুমানিক ০৩:৩০ ঘটিকার সময়ে ছাত্র সংসদের সামনে এর প্রতিবাদ করিতে গেলে
আশিকের নেতৃত্বে অভিযুক্ত মোঃ রাকিবুল হাসান রাকিব সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন মিলে আশিকের উপস্থিতিতে ছাত্র সংসদের সামনে পুর্বের মত আমাকে উত্তক্ত করার জন্য অশ্লীল ভাবে গালি গালাজ করে। যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্ধেশ্যে আমার ওরনা ধরে টান দেয় এবং অমার বুকের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে আমার শ্লীলতাহানি করে।
অমি নিজেকে সেভ করার জন্য অভিযুক্ত দের ধাক্কা দিলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে টেনে হিচড়ে মাটিতে ফেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল ঘুষি মারিয়া মাথা ও শরীরের অন্যান্য স্থান সহ জখম প্রাপ্ত করে। আমার ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে। আমি কান্নাকাটি করি এবং আইনের আশ্রয় নিতে যাবো বললে অবস্থা বেগতিক বুঝে , আশিকুল ইসলাম আশিক সাবেক সাধারন সম্পাদক ওয়াদুদ খান শুভ কে কল করিলে, শুভ কলেজে এসে,শুভ ও আশিক মিলে আমাকে ছাত্র সংসদের রুমে নিয়ে যায় ও রুম বন্ধ করে দেয় এবং রুম বন্ধ করে আমাকে এই বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
পরবর্তীতে আমি কলেজ থেকে বের হলে, আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে চিকিৎসার জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঢাকা নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে।
আমি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে উপরোক্ত বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুত্রাপুর থানায় ০৯/০২/২৩ ইং তারিখ রাত ০৯:২৫ ঘটিকায় প্রাপ্ত হইয়া সুত্রাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০২০ এর ধারায় একটি মামলা দায়ের করি, মামলা নং ১০।
বিঃদ্রঃ আমি সুত্রাপুর থানায় মামলা করতে গিয়ে , আশিক ও রাকিবের নাম সহ আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে মামলার আসামী দিলেও আশিকের নাম থানা থেকে কেটে মামলায় আমার স্বাক্ষর নেয়। আমি উক্ত মামলায় হুকুম দাতা আশিক কে মামলায় আসামী হিসাবে সংযুক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে জোড় দাবি জানাচ্ছি।
আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সাংবাদিক ভাই ও বোনের মাধ্যমে, আমার প্রানের প্রিয় সংঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অভিভাবক মমতাময়ী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বালাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি হোসাইন সাদ্দাম ও সাধারন সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। এবং প্রশাসনের কাছে এর বিচার ও দৃষ্টান্তমুলক চাই।