বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন মাইলফলক তৈরি করতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধন করবেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ১ মার্চ আসছেন ভারতে, সফর করবেন ৩ মার্চ পর্যন্ত। তিনি ভারত আয়োজিত জি-২০ রাষ্ট্রসমূহের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেই সময়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই পাইপলাইন উদ্বোধন সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
আসামের নুমালিগড় তেল শোধনাগার থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুরের শোধনাগারে তেল পৌঁছাবে। এর ফলে ডিজেল সরবরাহের ব্যয় কমে যাবে। বর্তমানে রেলপথে সরবরাহ হয়ে থাকে। ৩৫০ কোটি রুপি ব্যয়ে ১৩০ কিমি পাইপলাইন তৈরি শুরু হয় ২০২০ সালে। পাইপলাইন নির্মাণের কাজ শেষ। পাইপলাইনের ১২৫ কিমি বাংলাদেশের মধ্যে। অবশিষ্ট পাঁচ কিমি ভারতের মধ্যে। বাংলাদেশ প্রথমে ভারত থেকে শূন্য দশমিক ০০০৫ শতাংশ তেল আমদানি করবে। ধীরে ধীরে বছরে আড়াই লাখ মেট্রিক টন তেল আমদানি করবে। এতে উত্তরবঙ্গের কৃষকদের ডিজেল চাহিদা মিটবে বলে আশা করা হচ্ছে। আরব দুনিয়ার দামের ওপর ৩.৫ ডলার প্রিমিয়াম দিয়ে বাংলাদেশ তেল নেবে। এটা চুক্তিতে রয়েছে। ভবিষ্যতে চাহিদা বৃদ্ধি পেলে বছরে ৪ লাখ মেট্রিক টন পর্যন্ত তেল সরবরাহ করা হবে। সরকারি সূত্রের মতে, বাংলাদেশের বর্তমানে যে চাহিদা রয়েছে শুরুতে তার এক-পঞ্চমাংশ সরবরাহ হলেও ভবিষ্যতে সরবরাহ বাড়বে। চুক্তিটি ১৫ বছর মেয়াদের। পরে চাহিদা অনুসারে চুক্তির মেয়াদ বাড়বে বলেও বলা আছে। উভয় পক্ষের সম্মতিতে এই চুক্তি সংশোধন করা যেতে পারে।