নিজস্ব প্রতিনিধি : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম বলেছেন, মানুষের দ্বারা এবং প্রাকৃতিক কারণে নানাভাবে প্রতিনিয়ত পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। এর ফলে বৈশ্বিক জলবায়ুর ব্যাপক পরির্বতন ঘটছে। এ অবস্থাকে মোকাবিলা করতে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পাহাড়ে বন সৃজনে সবসময় আন্তরিক আছে। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের বৈচিত্র্যময় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় জনসাধারণকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল দিনব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেইন ডেভেলপমেন্ট (আইসিআইএমওডি)-এর যৌথ আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হিমলয়ান রেজিলাইনস এনাবেল অ্যাকশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম এ আহ্বান জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূরুল আলম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, আইসিআইএমওডি-এর অ্যাকশন এরিয়া কোঅর্ডিনেটর বন্দনা শাক্য, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, পার্বত্য বান্দরবান জেলার জেলা প্রশাসক পারভীন তিবরীজিসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
প্রোগ্রামে সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, জীববৈচিত্র্য প্রায় ধ্বংসের পথে। ছোট ছোট ঝিরি, ঝরণা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতির উপর নানাভাবে অত্যাচার করে আমরা তা ধ্বংস করছি। পার্বত্য চট্টগ্রামের বৈচিত্র্যময়তা রক্ষার জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা আরও বলেন, ৭২৬ কিলোমিটারের কাপ্তাই হ্রদ আমাদের বনজ সম্পদ ধ্বংস করেছে। কৃষি জমি ধ্বংস করেছে। আমাদের এখনো সময় আছে, পরিবেশ বিরোধী সব কার্যক্রম বন্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, নেপালের হিন্দুকুশ হিমালয়ান পার্বত্য অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নেপালভিত্তিক সমন্বিত পর্বত উন্নয়নের আন্ত:সরকারি সংস্থা International Center for Integrated Mountain Development (ICIMOD) পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে ‘ICIMOD’s Annual Mountain Prize-2019’ এর সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল। সংস্থাটি বিভিন্ন দেশের সাথে সমন্বয় করে পর্যটন, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। আগামিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে নতুন করে কাজ করার কথা রয়েছে।