বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের রেললাইন স্থাপন কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। দুই শিফটে দিনের পাশাপাশি রাতেও চলছে কার্যক্রম। মূল সেতু জুড়েই নির্মাণসামগ্রী নিয়ে প্রায়ই চলছে রেল ট্রাক। ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে মাদারীপুরের শিবচরের দুই স্টেশন হয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ট্রায়াল রানের প্রস্তুতি চলছে। জুনের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। এমনই তথ্য দিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মূল সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দিন-রাত দুই শিফটেই চলছে কাজ। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি ভায়াডাকের ওপর পাথরবিহীন প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেল সেতু স্থাপন হচ্ছে মূল সেতুতে।
মূল রেল সেতুর প্রায় ৯৮.৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে ইতোমধ্যে। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে ৩২ কিলোমিটার। সফলভাবে ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার রেললাইনে রেল ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে আরও আগেই। এর মধ্যে ভায়াডাক উড়াল রেললাইন ৪ কিলোমিটার আর মাটির ওপর দিয়ে ২৮ কিলোমিটার। ভায়াডাকের ৪ কিলোমিটার রেললাইন প্রস্তুত করা হয়েছে পাথরবিহীন। আর ২৮ কিলোমিটার নির্মাণ করা হয়েছে পাথর দিয়ে। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত তিনটি স্টেশন রয়েছে, ভাঙ্গায় জংশন, শিবচরে দুটি স্টেশন। স্টেশনগুলোর ওপর দিয়ে ৩২ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ভাঙ্গা জংশনটি আধুনিকায়ন করার কাজ চলছে। রেল সংযোগ প্রকল্প ঢাকা থেকে মাওয়া শিবচর ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রথম পর্যায় এবং ভাঙা থেকে যশোর পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়। প্রকল্পের অগ্রগতির প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বশেষ তথ্য মতে মূল সেতুতে ৬.১৫ কিলোমিটারের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ৬.০৫৮ কিলোমিটার। পুরো প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৭৫.৯২ ভাগ।
এর মধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত অংশের কাজ শেষ হয়েছে ৭৪.১৪ শতাংশ। মাওয়া ভাঙ্গা অংশের কাজ হয়েছে ৯১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৬৮ শতাংশ। মাওয়া স্টেশন সম্পন্ন হয়েছে ৯০ শতাংশ, শিবচরের পদ্মা স্টেশন ৮৬ শতাংশ, শিবচর স্টেশন ৭৩ শতাংশ, ভাঙ্গা জংশন ৬০ শতাংশ, ভাঙ্গা পুরাতন স্টেশন ৭৫ শতাংশ। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ট্রাক ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলী জানান, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পে কর্মরত সব দেশি-বিদেশিরা উৎফুল্ল। কারণ পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচল এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি। জুনেই শেষ হবে কাজ। স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে চলবে রেল। পদ্মা রেল সেতু চালু হলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ হবে। যা দেশের অর্থনীতিকে আরও বেগবান করবে বলে আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের।