সাইবার জগতে বাংলা ভাষার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে দুই দিনের অংশীজন সভা সমাপ্ত

Universal Acceptance Day Observed in Bangladesh

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাইবার জগতে বাংলা ভাষার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে ই-মেইল এর ক্ষেত্রেও বাংলা ভাষা ও স্ক্রিপ্ট ব্যবহারের সুযোগ চেয়েছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে ইন্টারনেট দুনিয়ায় অ্যাপ্লিকেশন, ডিভাইস এবং সিস্টেমগুলো যেনো স্থানীয় ভাষাবন্ধব হয় এবং এর ব্যবহার বারে সে দিকেও আলোকপাত করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

ইউনির্ভার্সেল একসেপ্টেন্স ডে ২০২৩ উপলক্ষে সোমবার রাজধানীর রমনার বিটিআরসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত দুই দিনের সম্মেলনের প্রথম দিন এমন দাবি তোলেন বক্তারা।

ইন্টারনেট কর্পোরেশন ফর অ্যাসাইনড নেমস অ্যান্ড নাম্বারস (ICANN) এর সহযোগিতায় যৌথভাবে দেশে প্রথমবার এই অংশীজন সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC) এবং বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম (BIGF)।

দুপুরে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলা ভাষার সমস্যা সমাধানে প্রধনমন্ত্রী চাঁদে যেতেও বাধা দেবেন না। তাই বিসিসি যেনো পরবর্তী কনসোর্টিয়ামের বৈঠকে যোগ দিতে তৎপর হয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দপ্তর। তথ্য বিবরণী বাংলার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে :মোস্তাফা জব্বার ঢাকা ২৭ মার্চ: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা বাংলার জন্য রক্ত দিয়েছি, বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা, ৩৫ কোটি মানুষের এই ভাষার সব কিছু আমাদেরকেই করতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উন্নয়নের দায়িত্ব্ আমাদের। পৃথিবীতে বাংলা ভাষা ভিত্তিক একমাত্র রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকেই তা করতে হবে। আমাদের দুর্ভাগ্যত যে ইউনিকোডে বাংলা এনকোডিং করার সময় আমরা তার সদস্য ছিলাম না। প্রতিবেশী দেশের বাংলাভাষাভাষীরা বাংলাকে দেবনাগরীর মতো করে এনকোডিং করে আমাদের ভাষার স্বাতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে। আমরা দীর্ঘদিন যুদ্ধ করেও এর সমাধান করতে পারছিনা। ইতোমধ্যে বাংলার প্রমিত মান তৈরি করা হয়েছে। বাংলার জাতীয় মান ইউনিকোডের মান হিসেবে নিশ্চিত করতে ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামে তা পেশ করতে হবে। মন্ত্রী এ বিষয়ক গঠিত কারিগরি কমিটিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চত করার নির্দেশনা প্রদান করেন। মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিটিআরসি মিলনায়তনে বিটিআরসি ও বিআইজিএফ এর যৌথ উদ্যোেগে আয়োজিত ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যকতা এবং বাংলাদেশের পর্যবেক্ষণ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ৩৫ কোটি বাংলাভাষাভাষীর জন্য বাংলাদেশই হচ্ছে বাংলা ভাষার রাজধানী। বাংলাদেশই ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলার এনকোডিং ও কিবোর্ডের মান প্রমিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বাংলার ১৬টি টুলস উন্নয়নে ১৫৯ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছেন যার কাজ চলমান। বাংলাদেশে প্রকাশনার জন্য বস্তুত একটিই কিবোর্ড ও সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়। এখানে আসকি ও ইউনকোডের মধ্যে যে দেওয়াল আছে তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। তারপরও ইউনিকোড কনভার্সনে যে জটিলতা হয় তার অপরাধ বাংলা ভাষাভাষীদের নয়। ভাষা ও সাহিত্যের প্রাযুক্তিক সমস্যাটার পেছনে ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামের দায় রয়েছে উল্লেখ করে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন আমাদের ভাষাকে একটি স্বতন্ত্র্য ভাষা হিসেবে গণ্য না করে আমাদেরকে ‘দেবনাগরীর’ অনুসারী করে প্রচণ্ড রকম ক্ষতি করা হয়েছে। এজন্যই এখনো আমাদেরকে নোক্তা নিয়ে যুদ্ধ করে বেড়াতে হচ্ছে। অথচ বংলা বর্ণে কোনে নোক্তা নেই। ইউনিকোড যদি বাংলাকে বাংলার মতো দেখে এই সমস্যাগুলো সমাধান করে ফেলতো তাহলে যে সমস্যাগুলো এখন মোকাবেলা করতে হচ্ছে তা আমরা করতাম না। দেরি করে হলেও বাংলাদেশ ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামে যোগ দিয়েছে ২০১০ সালে উল্লেখ করে কম্পিউটারে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, তার আগে ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামে ভারতীয় ভাষা পরিবারের যে এনকোডিংগুলো করা হয় তখন বাংলাভাষাভাষীরা ভূমিকা নিতে পারলে সংকট অনেকটাই উত্তরণ সম্ভব ছিল। তিনি বলেন, প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা ব্যবহারে আসকি, ইউনিকোড এবং প্রমিতের নির্দিষ্ট মান থাকলেও তার প্রয়োগ না থাকায় স্পেল চেকার, অভিধান, ওসিআর ইত্যাদিসহ বাংলা এনএলপি ব্যবহার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই এর প্রয়োগের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদেরকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রী ইউনিকোডে বাংলা লিপি ঢ-ঢ়, ড-ড়, য-য়-তে সমস্যা থাকাতে বড় তথ্য বিশ্লেষণ, সার্চ ইঞ্জিন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় এবং ইন্টারনেট অব থিংসে বেশ সংকট দেখা দিচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, মুদ্রণ জগতে রোমান লিপির সঙ্গে বাংলা লিপির এনকোডিং এর ক্ষেত্রে তারতম্য আছে। মন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকা ফোর-জি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। দেশে ২০০৮ সালে সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যাবহৃত হতো, বর্তমানে তা ৪১০০ জিবিপিএস এ উন্নীত হয়েছে। তিনি ব্রডব্যা ন্ড ইন্টারনেটের একদেশ এক রেট কর্মসূচির ন্যা য় মোবাইল ইন্টারনেটের তা করার জন্য৪ সংশ্লিষ্টদের উদ্যো্গ গ্রহণের নির্দেশে দেন। উল্লেখ্য ইউনিকোডের শুরু ১৯৮৭ সালে অ্যাপল কম্পিউটারের উদ্যোগে। পরে মাইক্রোসফটসহ বড় বড় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এ উদ্যোগে যুক্ত হয়ে ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম গঠন করে। ১৯৮৮ সালে থাইল্যান্ডে অ্যাপলের একটি সম্মেলনে অংশ নেন আনন্দ কম্পিউটার্সের প্রধান নির্বাহী এবং বর্তমানে ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার। ইউনিকোডের বাংলায় সে সময় ড়, ঢ়, য় ও ৎ—এই চারটি বর্ণ ছিলই না।

মোস্তাফা জব্বার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং এগুলো যুক্ত হয়। হাসানুল হক ইনু বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে কর্মসূচির ফলে গত ১৪ বছরে দেশে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট মানব সম্পদ গড়ে তোলা অপরিহার্য উল্লেখ করে বলেন, চলমান শিল্প বিপ্লবে ডিজিটাল বৈষম্য্ কাম্যগ নয়। তিনি বলেন মানসম্পন্ন ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল দক্ষতা সম্পন্ন মানব সম্পদ এবং প্রযুক্তিতে ভাষার সমস্যাজর সমাধান করতে হবে। তিনি প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা বিষয়ক গৃহীত প্রকল্পটির দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সংসদ সদস্যো আফরোজা হক রীনা ডিজিটাল প্রযুক্তিতে নারীদের অংশ গ্রহণের পাশাপাশি তাদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার গ্রহণযোগ্যরতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এবং বাংলা একাডেমিসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এক সাথে কাজ করতে হবে। সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে ইন্টারনেট কিংবা ডিজিটাল প্রযুক্তিতে অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। সভাপতির বক্তৃতায় বিটিআরসির চেয়ারম্যাকন বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উন্নয়নে বিটিআরসি, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং বিটিসিএলসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত উদ্যোলগে কাজ করতে হবে। আবদুল হক অনু মূল প্রবন্ধে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার সংকট তা সমাধানে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

মন্ত্রী বলেন, ভাষা ভিত্তিক দেশ হিসেবে ভাষা নিয়ে বিভাজনের কোনো সুযোগ নেই। আমরা এক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করবো।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এহসানুল কবির আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ভবিষ্যতে কোনো ডিভাইস চালু করার সময় বাংলাভাষায় স্বাগত জানাবে। এজন্য বিটিআরসি আইকানের সঙ্গে নিবিঢ়ভাবে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

সম্মিানিত অতিথির বক্তব্যে বিআইজিএফ চেয়ারম্যান এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ না হলে বিশ্বের অগ্রযাত্রা থেকে ছিটকে পড়তো। ইন্টারনেট সংযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে রাষ্ট্র, সমাজ ও ব্যক্তিকে খাপ খাইয়ে নিতে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে। স্মার্ট জনগণই এই শিল্পবিপ্লবকে সফল করবে। এক্ষেত্রে মাতৃভাষায় ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে ভাষার প্রতিবন্ধকতা দূর করতে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দূরত্বের বিষয় টেনে আনেন তিনি।

একইসঙ্গে ডটবাংলা’র বর্ণসঙ্কট দূর করার আহ্বান জানিয়ে অচিরেই একটি বাংলাভাষার কন্টেন্ট ব্যাংক গঠনের দাবি জানান হাসানুল হক ইনু।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ আবু হেনা মোরশেদ জামান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার। সরকারের কৃচ্ছ্রতা নীতির কারণে এবার বিসিসি ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামে যোগ দিতে পারেনি বলে জানান রণজিৎ কুমার।

আর অংশীজন সভার পাশাপাশি খেটে খাওয়া কৃষক মজুরদের এই উদ্যোগের সঙ্গে সংযুক্ত করার আহ্বান জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।

আর সভাপতির বক্তব্যে প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়াতে প্রচার প্রচারণা বাড়ানোর কথা বলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা দেন আইকান গ্লোবাল ডোমেইন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি বিভাগের এসভিপি তেরেসা স্যুইনহার্ট। এরপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইজিএফ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আব্দুল হক অনু।

এর আগে সকালের নেটওয়ার্কিং অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ পেশ করেন বিএনএনআরসি সিইও এএইচএম বজলুর রহমান। সিটি ইউনির্ভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের প্রধান অধ্যাপক সাফায়েত হোসেনের সঞ্চালনায় সচেতনতামূলক উপস্থাপনা দেন আইকান আইডিএন প্রোগ্রাম সিনিয়র ম্যানেজার পিতিনান কোরমোরপান্তা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য আফরোজা হক রিনা, বিটিআরসির মহাপরিচালক নাসিম পারভেজ, প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প পরিচালক মাহবুব করিম প্রমুখ।

এই দিনটি উদযাপনের মাধ্যমে, স্থানীয় পর্যায়ের অংশগ্রহণকারীরা সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে আরও সচেতন এবং উদ্যোগী করে তোলা, সেইসাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আঞ্চলিক এবং বিশ্ব সম্প্রদায় এবং সংস্থাগুলির সাথে আরও নিবিড়ভাবে এবং সমন্বিতভাবে কাজ করার ক্ষেত্রকে প্রশস্ত করবে। অনুষ্ঠানটি ইউনিভার্সাল অ্যাকসেপ্টেন্স স্টিয়ারিং গ্রুপ (UASG), ICANN, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের দ্বারা এবং ইউনিভার্সাল অ্যাকসেপ্টেন্স ট্রেনিং, সচেতনতা এবং কৌশলগুলির উপর বিভিন্ন সেশন দ্বারা আয়োজন করা হয়।

সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা এবং এর প্রযুক্তিগত প্রভাব রয়েছে যা ইন্টারনেটে সমস্ত ডোমেইন নাম এবং ইমেল ঠিকানাগুলিকে অনুমতি দেবে, স্ক্রিপ্ট, ভাষা বা চরিত্র নির্বিশেষে, অ্যাপ্লিকেশন, ডিভাইস এবং সিস্টেম জুড়ে ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যবহার করা হবে৷ উপরন্তু, ই-মেইল অ্যাড্রেস ইন্টারন্যাশনালাইজেশন (EAI) স্ট্যান্ডার্ডের সর্বজনীন স্বীকৃতি ই-মেইলে স্থানীয় ভাষা এবং স্ক্রিপ্ট ব্যবহারের অনুমতি দেবে। এক্ষেত্রে, ব্যবসা সম্প্রসারণ ও উৎকর্ষের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সংগ্রামে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরন্তর বিকশিত ডোমেইন নামের সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, বেসরকারি সংস্থা, একাডেমিয়া, মিডিয়া ও প্রযুক্তিবিদ এবং সকল স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

ইউএন গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট বিষয়ে সচেতনতা উপস্থাপনা, প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণ, ইমেল প্রশাসন, UA এর জন্য প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত ওভারভিউ তৈরি করা।

আন্তর্জাতিকীকৃত ডোমেইন নেম (IDNs) সারা বিশ্বের মানুষের স্থানীয় ভাষা এবং স্ক্রিপ্টে ডোমেন নাম ব্যবহার করতে সক্ষম করে। আরবি, চীনা, সিরিলিক বা দেবনাগরির মতো বিভিন্ন স্ক্রিপ্টের অক্ষর ব্যবহার করে IDN তৈরি করা হয়। এগুলি ইউনিকোড স্ট্যান্ডার্ড দ্বারা এনকোড করা হয় এবং প্রাসঙ্গিক IDN প্রোটোকল দ্বারা অনুমোদিত হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

IDN ব্যবহার করে বহুভাষিক ইন্টারনেটের উন্নয়ন ও প্রচারে সহায়তা করার জন্য ICANN IDN প্রোগ্রাম চালু করে। প্রোগ্রামটি প্রাথমিকভাবে IDN কান্ট্রি কোড TLDs এবং জেনেরিক TLDs সহ IDN টপ-লেভেল ডোমেন (TLDs) এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। IDN প্রোগ্রামটি ডোমেইন নেম সিস্টেমের দ্বিতীয় স্তরে IDN-এর কার্যকর ব্যবহারের দিকে তৈরি প্রকল্পগুলিকেও সমর্থন করে, যা সম্প্রদায়ের দ্বারা নির্দেশিত।

দ্বিতীয় দিনে পিটিনান কুয়ারমর্নপাটানা, আইডিএন প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার, গ্লোবাল ডোমেনস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি, আইকান প্রযুক্তিগত ওভারভিউয়ের তিনি UA-এর জন্য ইমেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং নিয়েও আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল হক অনু।

আলোচকবৃন্দ এবং অংশগ্রহণকারীরা কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন সেগুলো হলো ইন্টারনেট সংযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে রাষ্ট্র, সমাজ ও ব্যক্তিকে খাপ খাইয়ে নিতে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে। স্মার্ট জনগণই এই শিল্পবিপ্লবকে সফল করবে। এক্ষেত্রে মাতৃভাষায় ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে হবে। ভাষার প্রতিবন্ধকতা দূর করতে মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হবে। ডটবাংলা’র বর্ণসঙ্কট দূর করার জন্য অচিরেই একটি বাংলাভাষার কন্টেন্ট ব্যাংক গঠন করতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমাদের প্রযুক্তি কারকুলামগুলোকে আধুনিক ও মানসম্পন্ন করতে হবে।

Universal Acceptance Day Observed in Bangladesh

A two-day-long meeting on the Universal Acceptance of the Bengali language in the cyber world has started to ensure the universal acceptance of the Bengali language in the cyber world. Bangladesh has sought the opportunity to use the Bengali language and script in e-mail as well. At the same time, in the Internet world, the applications, devices and systems are locally language bound and the sector concerned has also highlighted that.

On the occasion of Universal Acceptance Day 2023, the speakers made such demands on the first day of the two-day conference held at the BTRC conference center in Ramna in the capital on Monday.

Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission (BTRC) and Bangladesh Internet Governance Forum (BIGF) jointly organized this stakeholder meeting for the first time in the country in collaboration with Internet Corporation for Assigned Names and Numbers (ICANN).

Post and Telecommunication Minister Mustafa Jabbar formally inaugurated the conference at noon. In the speech of the chief guest, he said that the Prime Minister will not stop him from going to the moon to solve the problem of the Bengali language. So, BCC is eager to attend the next consortium meeting.
The minister said, as a language-based country, there is no scope for division over language. We will work together on this.

Brigadier General Ehsanul Kabir in the welcome speech presided over by BTRC Chairman Shyam Sundar Sikder (Senior Secretary) expressed hope that in the future when launching any device, the welcome will be in the Bengali language. He said that BTRC is working closely with ICANN.

In the speech of the guest of honor, BIGF Chairman and President of the Parliamentary Standing Committee on the Ministry of Information and Broadcasting, Hasanul Haq Inu said, if not for digital Bangladesh, the world would have been left behind. Smart Bangladesh must be implemented to adapt the state, society and individual to the fourth industrial revolution of Bangladesh through internet connectivity. Smart people will make this industrial revolution a success. In this regard, he brought up the issue of distance at the ministry level to remove the language barrier by proposing to increase the use of the internet in the mother tongue.

At the same time, Hasanul Haq Inu demanded the formation of a Bengali language content bank, urging them to remove the color crisis of Dot Bangla.

Post and Telecommunication Secretary Abu Hena Morshed Zaman, and Executive Director of Bangladesh Computer Council Ranjit Kumar was also present at the event. Ranjit Kumar said that BCC could not join the Unicode Consortium this time due to the austerity policy of the government and along with the stakeholders’ meeting, Post and Telecommunication Secretary Abu Hena Morshed Zaman urged the farmers and marginalized people to connect with this initiative.

In the president’s speech, the BTRC chairman said to increase the publicity campaign to increase the use of the Bengali language in technology.

Teresa Swinhart, SVP of ICANN Global Domain and Strategy, gave a video message on the occasion. Then BIGF General Secretary Mohammad Abdul Haque Anu presented the keynote speech.

Earlier, BNNRC CEO AHM Bazlur Rahman presented the keynote in the morning networking session. ICANN IDN Program Senior Manager Pitinan Kooarmornpantana gave an awareness presentation moderated by Professor Safayet Hossain, Head of Computer Science and Engineering Faculty of City University. Member of Parliament Afroza Haq Rina, Director General of BTRC Nasim Parvez, Project Director for Enrichment of Bengali Language in Technology Mahbub Karim and others were present at the event.

By celebrating this day, participants at the local level will widen the scope to become more aware and proactive about universal acceptance, as well as to work more intensively and collaboratively with regional and global communities and organizations on related issues. The event is organized by the Universal Acceptance Steering Group (UASG), ICANN, regional and international partners and various sessions on Universal Acceptance training, awareness and strategies.

Universal acceptance and its technological implications will allow all domain names and email addresses on the Internet, regardless of script, language or characters, to be increasingly used across applications, devices and systems. Additionally, universal acceptance of the E-mail Address Internationalization (EAI) standard will allow the use of local languages and scripts in an e-mail. In this case, in the long-term struggle for business expansion and excellence, the organizations and businesses concerned have no choice but to adapt themselves to the ever-evolving domain names.

The event was attended by representatives of government departments, civil society, non-governmental organizations, academia, media and technologists and all stakeholders.

Creating awareness presentations, programming training, email administration, training and technical overview for UA on the UN Global Digital Compact.

Internationalized Domain Names (IDNs) enable people around the world to use domain names in their local languages and scripts. IDNs are created using characters from different scripts such as Arabic, Chinese, Cyrillic or Devanagari. They are encoded by the Unicode standard and used as permitted by the relevant IDN protocol.

ICANN launched the IDN Program to support the development and promotion of a multilingual Internet using IDNs. The program primarily plans for IDN Top-Level Domains (TLDs), including IDN Country Code TLDs and Generic TLDs.

On the second day of the Technical Overview discussed by Pitinan Kooarmornpatana, IDN Programs Senior Manager, Global Domains and Strategy, ICANN and she also discussed Email Administration Training for UA. The program was moderated by Mohammad Abdul Haque Anu, Secretary General, of the Bangladesh Internet Governance Forum (BIGF).

The panelists and participants put forward some recommendations which are to implement Smart Bangladesh to adapt the state, society and individual to the fourth industrial revolution of Bangladesh through internet connectivity. Smart people will make this industrial revolution a success. In this case, the use of the internet in the mother tongue should be increased. The Ministry should work to remove the language barrier. A Bangla language content bank should be formed soon to remove the color crisis of Dot Bangla. Our technology curricula must be modernized and standardized to keep pace with modern technology for our students.

Universal Acceptance Day Observed in Bangladesh
Comments (0)
Add Comment