বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমেছে। চলতি মাসে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম গত মাসের চেয়ে ২৪৪ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৭৮ টাকা। কমেছে অটোগ্যাসের দামও। গতকাল রবিবার সংবাদ সম্মেলনে নতুন দর ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় মাসের মতো এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমানো হলো। নির্ধারিত নতুন দাম গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে।
সাধারণত অনলাইনে প্রতি মাসের প্রথমদিকে এলপিজির নতুন দাম । ঘোষণা করা হয়। তবে বিইআরসির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে এপ্রিল মাসের নতুন দর ঘোষণা করেন। এ সময় কমিশনের নবনিযুক্ত সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. মো. হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গ্রাহক পর্যায়ে এলপিজির দাম এর আগে ব্যবসায়ীরা নিজেরা ঠিক করে দিত। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। সৌদি সিপিকে বিবেচনায় নিয়ে ব্যবসায়ীদের অন্যান্য খরচ হিসাব করে একটা নির্দিষ্ট মুনাফা নির্ধারণ করে মূল্য ঘোষণা করা হয়। বিইআরসির নির্ধারিত দরের সঙ্গে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাট) যুক্ত থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এপ্রিল মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন ও বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি (কন্ট্রাক্ট প্রাইস) পর্যায়ক্রমে প্রতি টন ৫৫৫ মার্কিন ডলার এবং ৫৪৫ মার্কিন ডলার ধরা হয়েছে। এ ছাড়া এপ্রিলে অটোগ্যাসের দাম ৬৬ টাকা ২২ পয়সা থেকে কমিয়ে ৫৪ টাকা ৯০ পয়সা করা হয়েছে, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল লিটারপ্রতি ৬৯ টাকা ৭১ পয়সা, জানুয়ারিতে ছিল ৫৭ টাকা ৪১ পয়সা, ডিসেম্বরে ছিল ৬০ টাকা ৪১ পয়সা। একইভাবে বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবহারকারীদের এলপিজির দামও কমেছে। রেটিকুলেটেড এলপিজি গ্যাসীয় অবস্থায় জানুয়ারি মাসে প্রতি লিটারের দাম ছিল দশমিক ২২ পয়সা। ফেব্রুয়ারি মাসে বেড়ে হয় দশমিক ২৭ পয়সা। মার্চ মাসে ছিল দশমিক ২৬ পয়সা। চলতি মাসে দশমিক ২১ পয়সা করা হয়েছে।