নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরে (এলজিইডি) নতুন নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে তীর্থজিৎ রায় যোগদান করেছেন। চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর তিনি স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর পাবনাতে যোগদান করলেও চার্জ বুঝে দিতে নানা টালবাহানা করছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান এমন অভিযোগও উঠেছে। পূর্বতন নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমানকে ঢাকাতে বদলী করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৭ মে তিনি স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর পাবনাতে যোগদান করেন। সে সময়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, মাদারীপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের আঞ্চলিক তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে তিনি কর্মরত ছিলেন। ওই সময়ে নিজ কর্মস্থল মাদারীপুরে টানা ২ মাস অননুমোদিত ভাবে অনুপস্থিত থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়াই তিনি পাবনাতে যোগদান করে বিতর্কের সৃষ্টি করেন। অভিযোগ রয়েছে, এলজিইড ‘র নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমানের আগে এ জেলাতে কর্মরত ছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম বাদশা মিয়া। তার কর্মকালে পাবনায় এলজিইডির অধীনে বিভিন্ন সড়ক মেরামত ও নির্মাণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার বন্ধ করায় এবং কতিপয় অসৎ ও দূর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের বিল আটকে দেয়ার কারণে দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের যোগসাজসে তাকে এখান থেকে বদলী করানো হয়। দুর্নীতিবাজ ও অসৎ ওই সকল কর্মকর্তা আর ঠিকাদাররা অনৈতিক উপায় অবলম্বন করে বিদায় হওয়ার অপেক্ষায় নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমানকে পাবনাতে বদলী করে আনে। জানা যায়, ভূক্তভোগীরা যে উদ্দেশ্যে নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমানকে এনেছিলেন, সে উদ্দেশ্য সফল না হওয়ায় এবং তাদের সাথে তার বনিবনা না হওয়া এবং প্রাপ্তির চেয়ে অতিরিক্ত দাবীর কারণে ঠিকাদাররা সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলেন না। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সদ্য যোগদানকারী নির্বাহী প্রকৌশলী তীর্থজিৎ রায় বলেন চার্জ বুঝে পাওয়ার পর পাবনার মানুষের সার্বিক সহযোগিতা পেলে ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে সরকারের সঠিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে চাই। আর পাবনা থেকে বিদায় হওয়ার অপেক্ষায় মোখলেছুর রহমান নতুন নির্বাহী প্রকৌশলী কে চার্জ বুঝে দেওয়ার বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজী হয় নাই ।