হাওরে ধান কাটায় তিন মন্ত্রী, ২৩ এপ্রিল ‘ঢলের’ শঙ্কা

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : সুনামগঞ্জের হাওরে বোরো ধান কাটা উৎসবে এসে সামিল হয়েছেন তিন মন্ত্রী। বুধবার দুপুরে শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওরে কৃষকদের সঙ্গে ধান কেটে তাদের উৎসাহ দেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।

এ সময় তারা কৃষকদের সঙ্গে ধান কাটা, মাড়াই ও বাজারজাত করার বিষয়ে আলোচনা করেন এবং আগামী ২৩ এপ্রিলের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হাওরের বোরো ধান কেটে ফেলার আহ্বান জানান। তিন মন্ত্রী হার্ভেস্টার মেশিনের চালকের আসনে ওঠে কিছুক্ষণ ধানও কাটেন। এ সময় উপস্থিত কৃষক ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হাততালি দিয়ে তাদের অভিনন্দন জানান।

এ সময় কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, “২৩ এপ্রিল বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। সেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এ কারণে কৃষকদের সাহস ও সহযোগিতা করতে আমাদের কর্মকর্তারা হাওরে এসেছেন। তারা ফসল না ওঠা পর্যন্ত হাওরে থাকবেন।

“২৩ এপ্রিলের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হাওরের ফসল কেটে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি, আমাদের এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হবে এবং কৃষকের ফসল সুরক্ষিত থাকবে।“

কৃষিমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষি মন্ত্রণালয় বিজ্ঞানীদের দায়িত্ব দিয়েছেন হাওরে আগাম জাতের ধান আবিষ্কারের জন্য। আমাদের বিজ্ঞানীরা ১৫ দিন আগে কাটা যায় এমন ধান নিয়ে কাজ করছেন।

“আশা করি, দুই-তিন বছরের মধ্যেই আমরা সফল হবো। এই আগাম জাতের ধান এলে হাওরের ফসল বন্যার ঝুঁকিমুক্ত থাকবে।”

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “বাঙালি মাছ-ভাত ছাড়া চলতে পারে না। এই মাছ ও ভাতের জোগান দেয় হাওরের কৃষক। আমাদের হাওরে উন্নত মানের ধান হয়। তবে মাঝে মাঝে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের ফসল নষ্ট হয়। “দুর্যোগের হাত থেকে ফসল বাঁচাতে আমরা হাওরে বাঁধ দেই এবং খাল-নদী খনন করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরের কৃষকদের কম সুদে ঋণসহ স্বল্পমূল্যে ও ভর্তুকিতে কৃষকদের সহায়তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সেটা করেছি।”

ধান
Comments (0)
Add Comment