আগামী চার বছরে বাংলাদেশকে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ দেবে দক্ষিণ কোরিয়া। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার কোটি টাকা। মেট্রোরেল, রেলসহ পরিবহন খাতের বেশ কিছু প্রকল্পে এসব অর্থ দেওয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার উভয় দেশের মধ্যে কোরিয়ার ইনচন শহরে এ–সংক্রান্ত ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান ও কোরিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার কি সুন ব্যাং সই করেন। ইআরডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৭ মেয়াদে দক্ষিণ কোরিয়ার এই ঋণ পাওয়া যাবে। ঋণের বার্ষিক সুদের হার দশমিক শূন্য ১ থেকে দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৪০ বছর এবং গ্রেস পিরিয়ড ১৫ বছর।
ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির আওতায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও কোরিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে রাজধানীর মেট্রোরেল-৪ নির্মাণ নিয়ে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।
এ ছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈশ্বরদী-পার্বতীপুর সেকশনে সিগন্যাল–ব্যবস্থার উন্নয়নে ছয় কোটি ডলার দেবে কোরিয়া। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে বিআরটিসির জন্য এসি বাস কেনার জন্য ৭ কোটি ৭৪ লাখ ডলার মিলবে। দুটি ঋণের সুদের হার দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সাড়ে ৪০ বছর। এর মধ্যে সাড়ে ১৫ বছর গ্রেস পিরিয়ড। ঋণ চুক্তি দুটিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং কোরিয়া সরকারের পক্ষে কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হি সুন ইউন সই করেন।
কোরিয়া সরকার তাদের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে নমনীয় শর্তে ঋণসহায়তা প্রদান করে আসছে।
ইতিমধ্যে কোরিয়া সরকারের ৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের আর্থিক সহায়তায় মোট ১৭টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। এ ছাড়া ৬১ কোটি ৬২ লাখ ডলারের সাতটি প্রকল্প বর্তমানে চলমান। কোরিয়া সরকার এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে প্রায় ১৪৫ কোটি ডলারের নমনীয় ঋণ মঞ্জুর করেছে।