বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলী রিপন শেখ জানিয়েছেন, প্রকল্পের ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ভারত থেকে স্লিপার ও রেললাইন চলে এসেছে। এখন রেললাইন বসানোর কাজ চলছে। সীমান্ত থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার রেললাইন বসানো হয়েছে। ৩০ জুনের মধ্যেই কাজ শেষ করা যাবে। জুলাই থেকেই চলাচল করবে ট্রেন। প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অংশ হিসেবে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে আখাউড়া-আগরতলা সাড়ে ১০ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কলকাতা থেকে ট্রেন আখাউড়া হয়ে আগরতলা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে।
এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে। এতে দুই দেশের সম্পর্ক বাড়াতেও ভূমিকা রাখবে এই প্রকল্প। ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ১৮ মাস মেয়াদি এই প্রকল্পটি শেষ হতে একে একে পেরিয়ে গেছে সাড়ে চার বছর। করোনা মহামারির কারণে দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পটির মেয়াদ। সর্বশেষ চতুর্থ দফায় চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আখাউড়া হয়ে কলকাতা ও আগরতলা পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ চালু হবে। একই সঙ্গে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণেও নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক ও উপ-আঞ্চলিক কানেকটিভিটির ক্ষেত্রেও নতুন করিডোর স্থাপিত হবে। ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পটি ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং কলকাতার মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে। প্রকল্পটি চালু হলে ৩১ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে ১০ ঘণ্টা এবং ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার থেকে দূরত্ব কমে হবে ৫৫০ কিলোমিটার। আগরতলা-আখাউড়া রেলপথে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশের দিকে প্রবেশের ভারতীয় অংশে নিশ্চিন্তপুর রেলস্টেশন নির্মাণের কাজ এর মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ অংশে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে রেললাইন যাবে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর সীমান্তে। আখাউড়া থেকে আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার। সাড়ে ৬ কিলোমিটার অংশ বাংলাদেশে। বাকি সাড়ে ৪ কিলোমিটার আগরতলা অংশে।