বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : নতুন অর্থবছরের বাজেটে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নেই গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। দেশের ইতিহাসে একক হিসেবে সবচেয়ে বেশি টাকা বরাদ্দ পাওয়া প্রকল্প হলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মিলবে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। শুধু পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পই নয়, পদ্মা সেতু, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ এমন ১০টি মেগা প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছে মোট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি’র ২৩ ভাগ অর্থ। টাকার অংকে যা ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মোট এডিপি’র আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। যদিও নতুন অর্থবছরের বাজেটে নতুন কোনো প্রকল্পে বরাদ্দ রাখছে না সরকার। বরং যেগুলো চলমান আছে, সেগুলো নির্দিষ্ট মেয়াদে শেষ করাই লক্ষ্য। বিশ্লেষকরা বলছেন, মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সুফল পাবে মানুষ। কিন্তু অন্য দিকেও নজর দেয়া দরকার। এছাড়া নতুন অর্থবছরের (২০২৩-২৪) বাজেটে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১’-এর রূপরেখা তুলে ধরা হবে। এই স্মার্ট বাংলাদেশ রূপরেখায় থাকছে ৪০ মেগা প্রকল্প। তা বাস্তবায়নের জন্য ২০২৫, ২০৩১ এবং ২০৪১-এই তিনটি সময়রেখা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় প্রকল্প সংখ্যা ১ হাজার ৩০৯টি। এরমধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ১ হাজার ১১৮টি, সমীক্ষা প্রকল্প ২২টি, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ৮০টি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান/ করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প ৮৯টি। নতুন এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১০টি মেগা প্রকল্পে। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মোট এডিপি’র আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। এই ১০ প্রকল্পে সব মিলিয়ে বরাদ্দ করা হয়েছে ৬০ হাজার ৫১ কোটি টাকা বা মোট এডিপির ২৩ শতাংশ।
এরমধ্যে প্রায় ৯ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে প্রকল্পটির জন্য ১১ হাজার ১৩৯ কোটি টাকার বরাদ্দ ছিল। দেশের ইতিহাসে একক প্রকল্প হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। রাশিয়ার অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায় ২০১৬ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটি আগামী ২০২৫ সালে শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। এদিকে, নতুন এডিপিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ৯ হাজার ৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) (১ম সংশোধিত) প্রকল্পে। এতে প্রায় ৮ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বরাদ্দে চতুর্থ অবস্থানে আছে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। এই প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, প্রায় ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (১ম পর্যায়) (১ম সংশোধিত) প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের আরএডিপিতে প্রকল্পটিতে বরাদ্দ আছে ৪ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা। এছাড়া সপ্তম অবস্থানে আছে ফিজিক্যাল ফ্যাসিলিটিজ ডেভেলপমেন্ট (পিএফডি) (১ম সংশোধিত)।
এই প্রকল্পে বরাদ্দ প্রায় ৪ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা। পাশাপাশি ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১) প্রায় ৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর এবং নতুন বাজার হয়ে পূর্বাচলের পিতলগঞ্জ পর্যন্ত ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা। এই মেগা প্রকল্পটির জন্য চলতি সংশোধিত এডিপিতে এই প্রকল্পে বরাদ্দ রয়েছে ৪৮৬ কোটি টাকা। প্রকল্পটি ২০২৬ সালে শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পে বরাদ্দ প্রায় ৩ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা এবং ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৬) (২য় সংশোধিত) প্রকল্পে প্রায় ৩ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মাত্র অর্ধেক বাস্তবায়ন করা গেছে। এর ফলে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ব্যয় বেড়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সুফল পাবে মানুষ। কিন্তু অন্য দিকেও নজর দেয়া দরকার। বিশেষ করে যেসব প্রকল্পের অগ্রগতি খুব কম এবং যেগুলোর প্রভাবও তেমন বেশি পড়বে না, সেগুলোর বিষয়ে আমাদের পুনরায় বিবেচনা করে দেখতে হবে।’
শুধু মেগা প্রকল্পই নয়, এডিপিতে এবার সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে ১০ মন্ত্রণালয়। টাকার অংকে যা ১ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। মন্ত্রণালয়ভিত্তিক মোট বরাদ্দের প্রায় ৭৩ দশমিক ৪৩ ভাগ। অন্যদিকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এ বিভাগ ৪০ হাজার ৫০২ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং বিদ্যুৎ বিভাগ। এ দুটি বিভাগ যথাক্রমে ৩৪ হাজার ৬২ কোটি টাকা এবং ৩৩ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা পেয়েছে। এদিকে আগামী এডিপিতে বরাদ্দহীন নতুন প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ৮২৫টি প্রকল্প। এসব প্রকল্প বছরজুড়ে পাস করা হবে। ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে ৩১৪টি প্রকল্প শেষ করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী এডিপিতে ৭৯টি সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জনকণ্ঠকে বলেন, ‘এ সরকার যে জনতুষ্টিমূলক বাজেট করে না, এর অন্যতম উদাহরণ হলো দেশের মেগা প্রকল্পগুলো। সরকার প্রথম আসার সঙ্গে সঙ্গেই এগুলোর কাজ শুরু করেছিল। সরকার তো পারত এগুলো শুরুতে না করে মানুষকে দেখানোর জন্য করবে, তারা সেটা করেনি। আমরা জনতুষ্টিমূলক কিছু করি না, মানুষের জনকল্যাণের জন্য বাজেট দেই। নতুন কোনো প্রকল্পে সরকার হাত দিচ্ছে না। বরং যেগুলো চলমান আছে, সেগুলো শেষ করাই আমাদের লক্ষ্য।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার ৫০ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। একক মাসের হিসেবেও একই পরিস্থিতি। গত এপ্রিলে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের সময়ে ছিল ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। এপ্রিলে ব্যয় হয়েছে এডিপির ২০ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই মাসে এই ব্যয় ছিল ২০ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর ১ হাজার ৬৮৩ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়নে গতি আশারূপ না হওয়ায় সংশোধিত এডিপিতে (আরএডিপি) বড় অঙ্কের কাটছাঁট হয়েছে। প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে আনায় আরএডিপির আকার দাঁড়ায় ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে এডিপি বাস্তবায়নে সবচেয়ে পিছিয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। তাদের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৩৩ শতাংশ। নৌপরিবহন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন ৩৭ শতাংশ। অথচ এই ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের গড় বাস্তবায়নের হার ৫১ শতাংশের বেশি।
জানা গেছে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) একাধিক বৈঠকেও বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানতে চাইলে আইএমইডি’র সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, সরকারের সাশ্রয় পরিকল্পনার কারণেই মূলত এবার অর্থ ব্যয় কম হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পে বিদেশ সফর, গাড়ি কেনা ও প্রশিক্ষণ বাবদ ব্যয় করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে সার্বিক ব্যয় কিছুটা কম হয়েছে। সরকারের কৃচ্ছ্রসাধন নীতির কারণে এডিপির বাস্তবায়নের গতি কিছু কমে আসাই স্বাভাবিক। তবে অর্থ সংকট ছিল না এমন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতিও আশানুরূপ নয়। অগ্রাধিকার পাওয়া মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নেও একই চিত্র। নির্ধারিত সময়ে ব্যয় করতে না পারায় বিদেশী ঋণের অর্থছাড় কমে গেছে। একই কারণে আগামীতে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কমিয়ে দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগীরা।
স্মার্ট বাংলাদেশ রূপরেখায় থাকছে ৪০ মেগা প্রকল্প ॥ আগামী অর্থবছরের (২০২৩-২৪) বাজেটে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১’-এর রূপরেখা তুলে ধরা হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা এটি। সেখানে প্রধান চারটি কৌশল হবে-স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি। এছাড়া স্মার্ট শিক্ষা, স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট কৃষি, স্মার্ট বাণিজ্য ও স্মার্ট পরিবহণব্যবস্থার কথাও থাকবে। এর ধারাবাহিকতায় আসন্ন বাজেটের শিরোনাম ‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’। অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল এবার বাজেট বক্তব্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১’-এর স্বপ্ন ও বাস্তবায়নের পথ দেখাবেন। তুলে ধরবেন নানা চ্যালেঞ্জের কথাও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
সূত্রমতে, স্মার্ট বাংলাদেশ মহাপরিকল্পনায় প্রায় ৪০টি মেগা প্রকল্প রয়েছে। তা বাস্তবায়নের জন্য ২০২৫, ২০৩১ এবং ২০৪১-এই তিনটি সময়রেখা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এর শুরুতে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলা ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধি, আইসিটি নীতিমালা, জাতীয় প্রকিউরমেন্ট ই-বাজার, ডিজিটাল চাকরির প্ল্যাটফরম, স্মার্ট পাবলিক সার্ভিস (জনপরিষেবা) ও পেপারলেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (কাগজবিহীন প্রশাসন), ইনক্লুসিভ ফিন্যান্সিয়াল (অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক সংস্থান), গভর্নমেন্ট ক্লাউড অ্যান্ড ডেটা সেন্টার প্রভৃতি কার্যক্রম শুরুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ইউনিভার্সাল ডিজিটাল আইডি, ডিজিটাল কারিকুলাম, স্মার্ট ডিভাইস অ্যাকসেস, স্মার্ট বাংলা ক্যাম্পেন, স্মার্ট হেলথ কেয়ার, স্মার্ট ট্যাক্স, ডিজিটাল লিডারশিপ অ্যাকাডেমি উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হবে।
এছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে স্মার্ট ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, স্মার্ট পোস্টাল সার্ভিস, স্মার্ট জুডিশিয়ারি, স্মার্ট বর্ডারস, স্মার্ট সোশ্যাল সেফটি নেট, পুলিশ মডার্নাইজেশন, ইনক্লুসিভ ফিন্যান্সিয়াল ইকোসিস্টেম, ফিনটেক অ্যাকসেলারেটর, উদীয়মান প্রযুক্তিবিষয়ক সেন্টার অব এক্সিলেন্স (সিওই) বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেওয়া হবে। এভাবে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা প্রণয়ন করা হচ্ছে। জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবিএম মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ ভালো। ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী যুগ স্মার্ট বাংলাদেশ। কিন্তু সেখানে পৌঁছতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে নজর দিতে হবে। বিশেষ করে দুর্নীতি প্রতিরোধ, অর্থ পাচার রোধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও জ্বালানির স্বল্পতা কাটাতে হবে। এমনকি দারিদ্র্যসীমার হার বেড়ে যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশে পৌঁছতে কম্পিউটার ও অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল তুলে দিতে হবে তাদের হাতে। সেক্ষেত্রে দারিদ্র্যদূরীকরণে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে।