শনিবার (৩ জুন) কসমস ডায়ালগে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, প্রতিশ্রুতিশীল খাতে বিভিন্ন ধরনের বাস্তব সহযোগিতা বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন এবং জাপান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মের সম্ভাবনা অনুসন্ধান করেন। তিনি, বাংলাদেশ ও জাপানের কৌশলগত অংশীদারিত্ব-এর অংশ হিসেবে সহযোগিতার তিনটি প্রধান ক্ষেত্র চিহ্নিত করেন।
এগুলো হলো; এই অঞ্চলে ও এর বাইরে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সহযোগিতা, পারস্পরিক সুবিধা ও আঞ্চলিক সমৃদ্ধির জন্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরো গভীর করা এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতার প্রসার ও জনগণের মধ্যে এর বিনিময়।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, “ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা, এটি একটি নতুন বিষয়। এর কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে; ভারত-বাংলাদেশ-জাপান সহযোগিতার বিষয়ে কিছু মতামত থাকতে পারে। আমরা আলোচনা করতে প্রস্তুত। আমরা অনেক ধারণা, অনেক মন্তব্য দেখতে প্রস্তুত। আমি যা বলতে পারি, তা হলো আলোচনা শুরু হয়েছে।”
রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, “আমি নির্দিষ্ট প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত বলতে চাই না।” তিনি বলেন, “নিরাপত্তা সহযোগিতা আরো গভীর করার লক্ষ্যে, সশস্ত্র বাহিনী এবং সমমনা দেশগুলোর অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সুবিধার জন্য জাপান একটি নতুন সহযোগিতা কাঠামো; ‘অফিসিয়াল সিকিউরিটি অ্যাসিসট্যান্স (ওএসএ)’ প্রতিষ্ঠা করেছে।”
বিনিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা সত্য যে অনেক নতুন কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক কিন্তু দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য জটিলতার মতো সমস্যা রয়েছে, যেগুলো মোকাবেলা করতে হবে।”
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য, এই সংকটের একটি চূড়ান্ত সমাধান হলো, বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের মিয়ানমারে টেকসই, নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন করা।”
জাপানের রাষ্ট্রদূত একটি ‘ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক (এফওআইপি)’-এর জন্য সদ্য প্রকাশিত পরিকল্পনার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ পরিকল্প চারটি স্তম্ভ হলো; শান্তির জন্য নীতি এবং সমৃদ্ধির জন্য নিয়ম’; ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় পথে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা; ‘মাল্টি-লেয়ার কানেক্টিভিটি এবং সমুদ্র ও আকাশ পথে নিরাপত্তা ও নিরাপদ ব্যবহারের জন্য প্রচেষ্টা সম্প্রসারিত করা।