বাংলাবান্ধা বন্দরে লক্ষ্যমাত্রার বেশি রাজস্ব আদায়

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : চার দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করেছে কাস্টম শুল্ক স্টেশন। এ বন্দরে এ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। যার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আদায় হয়েছিল ৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা কম আদায় হয়।

বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি হয়েছে ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৭২৬ টন ও রপ্তানি হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭৫ টন পণ্য। ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি ১৬ লাখ ৯৩ হাজার ১২০ টন ও রপ্তানি ১ লাখ ১১ হাজার ৫৬৯, ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমদানি ১১ লাখ ৮৬ হাজার ৫৮ টন ও রপ্তানি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯০ টন।

বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহামারী করোনায় বৈশ্বিক মন্দা, ডলার সংকট, এলসি জটিলতা, বন্দর অভ্যন্তরে প্রয়োজন অনুযায়ী অবকাঠামো গড়ে না ওঠা ও বিভিন্ন সময় ভারত থেকে উল্লেখযোগ্য হারে পণ্য আমদানি কমে গেলেও বন্দরটিতে উল্লেখযোগ্য হারে রাজস্ব আদায় বেড়েছে।

বাংলাবান্ধা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জানান, মহামারী করোনাকাল থেকেই উচ্চ শুল্ক হারের পণ্য আমদানি কমে গেছে। তা ছাড়া এ স্থলবন্দর হতে রাজধানী ঢাকার দূরত্ব বেশি হওয়ায় খরচ বেশি বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে পণ্যের খরচ বেশি পড়ে যায়। এসব সমস্যা নিরসন হলে বন্দরটিতে লক্ষ্যমাত্রার থেকে দ্বিগুণ রাজস্ব আদায় সম্ভব।

বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি আবদুল লতিফ তারিন জানান, করোনার মধ্যেও বাংলাবান্ধা বন্দরে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে দ্বিগুণ রাজস্ব আয় হয়েছে। করোনার পর বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতে মন্দা, ডলার সংকটসহ সৃষ্ট কিছু সমস্যা তৈরি হলেও বন্দরটিতে ভালো রাজস্ব আদায় হয়েছে। বন্দরের অবকাঠামোসহ সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য মহাপরিকল্পনা প্রয়োজন। সেটি পূরণ হলে সম্ভাবনাময় এ বন্দর দিয়ে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব আদায় সম্ভব।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা একটি চারদেশীয় গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাবান্ধা বন্দরে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ফলে বন্দরটিতে আমদানি-রপ্তানিতে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। প্রতিদিন আমদানি-রপ্তানির পণ্যবাহী তিনশর বেশি ট্রাক সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে যাতায়াত করছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার জেএম আলী আহসান জানান, শুল্ক স্টেশনের কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, দক্ষতা ও বন্দরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার কারণে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণেই এ স্থলবন্দরটি অপার সম্ভাবনাময়। ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হলে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর হিসেবে এখান থেকে জাতীয় রাজস্ব আয়ে যোগ হবে নতুন মাত্রা।

বাংলাবান্ধা
Comments (0)
Add Comment