বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : রফতানির ঋণের সুদহার এক শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানির ঋণের সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। এতদিন এ হার ছিল ১০ দশমিক ১০ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। সার্কুলারে বলা হয়, চলতি বছর ১ জুলাই থেকে মুদ্রানীতিতে সুদ গণনার নতুন কাঠামো কার্যকর করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন এ পদ্ধতিতে ‘এসএমএআরটি’র (স্মার্ট-সিক্স মান্থ মুভিং অ্যাভারেজ অর্থাৎ ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় হার) সঙ্গে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ যোগ করে ঋণ দিতে পারে। তবে প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানির ঋণের এটি কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এখন ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় হার ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। এর সঙ্গে ব্যাংকগুলো প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানির ঋণের ২ শতাংশ যোগ করলে সর্বোচ্চ ঋণের সুদহার হবে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। তবে রপ্তানি ঋণের সুদহার কমলেও অন্যান্য ঋণের সুদহার গণনা হবে আগের নিয়মে।
অর্থাৎ এসএমএআরটি সঙ্গে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ যোগ করে ঋণ দেবে ব্যাংকগুলো। এর আগে ব্যাংকঋণের ৯ শতাংশ সীমা তুলে দিয়ে সুদ গণনার নতুন কাঠামো ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়।
তার আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের জন্য (জুলাই-ডিসেম্বর) নতুন মুদ্রানীতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছিল। নতুন নির্দেশনা বলা হয়েছে, বৈশ্বিক বিরূপ অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে অধিকতর অভিঘাত সহনশীল করার পাশাপাশি দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পের বিকাশ ও প্রসারে চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে এবং অধিকতর দক্ষ ঋণ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নতুন নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে ‘এসএমএআরটি’র সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ মার্জিন যোগ করে সুদহার নির্ধারণ করতে হবে। কোনো ঋণ অথবা ঋণের কিস্তি সম্পূর্ণ বা আংশিক মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হলে যে সময়ের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, ওই সময়ে চলমান ঋণ বা তলবি ঋণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ঋণস্থিতির ওপর এবং মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির ওপর সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৫ শতাংশ হারে দ- সুদ আরোপ করা যাবে।