বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : চলতি আগস্ট মাসে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির পরীক্ষামূলক উদ্বোধন করা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পেনশন কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় চেয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। সময় পাওয়া গেলে আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানো হবে।
শুরুতে প্রবাসী বাংলাদেশি, বেসরকারি চাকরিজীবী, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মী ও অসচ্ছল ব্যক্তি—এই চার শ্রেণির ব্যক্তিদের নিয়ে পেনশন কর্মসূচি চালু করা হবে বলে জানা গেছে।
পেনশন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে। কর্তৃপক্ষের এখনো কোনো কার্যালয় নেই, লোকবলও নেই। অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কবিরুল ইজদানী খানকে নিজ দায়িত্বের বাইরে অতিরিক্ত কাজ হিসেবে কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছে অর্থ বিভাগ।
এ ব্যাপারে কবিরুল ইজদানী খান বলেন, ‘আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছি। সময় পেলেই বলা যাবে, কবে উদ্বোধন করা হবে এই পেনশন কর্মসূচির।’
পেনশন কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত সূত্রগুলো জানায়, চলতি মাসের শেষ দিকে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন চলতি মাসের শেষ দিকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ছয় ডিএমডির একজন হিসেবে যোগ দেবেন। তিনি অর্থসচিব থাকা অবস্থায় যাতে এই কর্মসূচির উদ্বোধন হয়, সেই চেষ্টা করা হবে।
আগে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিলেও সরকার পরে বয়সের বিষয়টি শিথিল করে ৫০ পার হওয়া ব্যক্তিদেরও পেনশনব্যবস্থার মধ্যে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মাসিক চাঁদা সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা হতে পারে, সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে কর্মসূচি পরিবর্তন এবং চাঁদার পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগ থাকছে।
সূত্রগুলো জানায়, পেনশন কর্মসূচি চালুর আগে পাঁচটি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) হবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের। এগুলো হচ্ছে নির্বাচন কমিশন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, সোনালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কম্পানি লিমিটেড।
এসব এমওইউয়ের খসড়া হয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রীর সময় পাওয়া গেলে দপ্তরগুলোর সঙ্গে পেনশন কর্তৃপক্ষের এমওইউ হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শুধু এমওইউয়ের মাধ্যমেই এই কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা যাবে না। দরকার অ্যাপ্লিকেশন প্রগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) করার কাজটিও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এপিআই হচ্ছে এক ধরনের সফটওয়্যার, যার মাধ্যমে একটির সঙ্গে একাধিক কম্পিউটার কর্মসূচির যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। পেনশনব্যবস্থায় নগদ টাকায় কোনো লেনদেন হবে না। সব কাজ হবে অনলাইনে।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, পেনশন কর্মসূচিতে যোগদানের যোগ্যতা ও নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিধিমালা এবং জাতীয় পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) বিধিমালা নামের তিনটি বিধিমালার প্রজ্ঞাপনের খসড়াও তৈরি হয়ে আছে। পেনশন কর্মসূচি চালুর আগে এসব প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।