বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশে কার্যালয় চালু করতে যাচ্ছে সৌদি আরবের পর্যটন কর্তৃপক্ষ। সৌদি আরবের পর্যটন বিভাগের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান গত বৃহস্পতিবার আরব নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। স¤প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহমন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ। এই সফরে বাংলাদেশি ওমরাহ পালনকারীদের জন্য ‘নুসুক’ প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে সৌদি আরব। ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই উদ্যোগের সূচনা করা হয়।
নুসুক হলো এমন একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে ই-ভিসা আবেদন, ভ্রমণ পরিকল্পনা এবং বুকিংয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে পর্যটকেরা মক্কা, মদিনা এবং অন্যান্য শহরে ভ্রমণের জন্য যাত্রাপথ নির্দিষ্ট করতে পারবেন। হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের সফর মসৃণ করাই নুসুক পরিষেবার লক্ষ্য। নুসুক ছাড়াও সৌদি মন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বেশ কয়েকটি চুক্তি করেছেন। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিয়োজিত সৌদি পর্যটন কর্তৃপক্ষের সভাপতি আল হাসান আল-দাব্বাঘ গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় আরব নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ লাখ বাংলাদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করা।
আমাদের জন্য এ বাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরো বলেন, এ বছর আমরা তিন লাখ বাংলাদেশিকে সৌদি আরবে স্বাগত জানিয়েছি। তাদের বেশির ভাগই ওমরাহ করতে এসেছেন। কিন্তু এমনও মানুষ আছেন, যারা পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসছেন। কিছু মানুষ আছেন যারা ব্যবসার কাজে এসেছেন। এ বছরের শুরুতে সৌদি আরব ভারতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে। তাদের লক্ষ্য ২০৩০ সাল নাগাদ ১২ লাখেরও বেশি ভারতীয় পর্যটক আকৃষ্ট করা। এবার এ সপ্তাহের সফরে সৌদি পর্যটন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে তাদের উপস্থিতি বাড়াতে চুক্তি স্বাক্ষর করল। আল-দাব্বাঘ বলেন, আমরা এখানে অনেক কিছু করছি। প্রথমত, আমরা একটি কার্যালয় খুলছি। আমরা এখন আমাদের বাণিজ্যিক অংশীদার, ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। নুসুকের প্রতিষ্ঠা, ওমরাহ ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি ও বাংলাদেশিদের জন্য নতুন ট্রানজিট ভিসা ওমরাহকে আগের তুলনায় বেশ সহজ করেছে।
এতে পর্যটকদের মক্কা ও মদিনার পবিত্র স্থানগুলো ছাড়াও অন্যান্য জায়গায় ভ্রমণ সহজ হয়েছে। আল-দাব্বাঘ বলেন, সৌদি আরবে ছয়টি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব এতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে। দেশটিতে ১০ হাজারেরও বেশি প্রতœতাত্ত্বিক স্থান আছে। এর ভূতত্ত্বও বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। সেখানে জেদ্দা ও রিয়াদের মতো বড় শহর আছে। আপনি মরুভূমির অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। আপনি রঙিন কোরালসহ সুন্দর লোহিত সাগর উপভোগ করতে পারবেন। দক্ষিণে আসির পর্বতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন, যেখানে আবহাওয়া থাকে সারা বছর শীতল। সৌদি ভিশন ২০৩০-এর অধীনে পর্যটনকে অন্যতম বিকাশমান খাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সৌদি সরকারের লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান ১০ শতাংশে উন্নীত করা।