বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৩৪০টি সিএনজি-চালিত একতলা এসি বাস। বর্তমানে বিআরটিসির বহরে থাকা মেরামত অযোগ্য ও অকেজো বাসগুলো সরিয়ে সেখানে নতুন বাসগুলো প্রতিস্থাপন করা হবে। এর মধ্য দিয়ে সিটি, ইন্টারসিটিতে নির্ভরযোগ্য ও আরামদায়ক গণপরিবহন সুবিধা বাড়বে। পরিবেশবান্ধব পরিবহন নিশ্চিত হবে।
এ লক্ষ্যে ‘বিআরটিসি’র জন্য সিএনজি-চালিত একতলা এসি বাস সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, নতুন ৩৪০টি বাসের মধ্যে সিটিতে চলবে ১৪০টি, বাকি ২০০ বাস চলবে ইন্টারসিটিতে। প্রকল্পটি ৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পেয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় ৩৪০টি সিএনজি সিঙ্গেল ডেকার এসি বাস এবং সেগুলোর জন্য ১৫ শতাংশ খুচরা যন্ত্রাংশ ও এ সম্পর্কিত পরিষেবা সংগ্রহ করা হবে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৩৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের পরিমাণ ৩০৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। বাকি ৮২৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা প্রকল্প ঋণ বাবদ দেবে ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) কোরিয়া। প্রকল্পের আওতায় এসব গাড়ি ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাগাদ দেশে এসে পৌঁছাবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বৈদেশিক অর্থায়নের সুবিধার্থে অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে। প্রকল্পটি সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
এছাড়া, এসডিজি-১১.২-এর আলোকে ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ, সাশ্রয়ী, অবারিত এবং টেকসই পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে বলেও উল্লেখ রয়েছে। বিশেষ করে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও বয়স্কদের চাহিদার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়ে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সম্প্রসারণ করতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আলোচ্য প্রকল্পটি সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং এসডিজি’র সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, ৩৪০টি নতুন এসি বাস বিআরটিসির বহরে যুক্ত হবে। এর মধ্য দিয়ে বিআরটিসির অকেজো বাসগুলো সার্ভিস থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে সিটি এবং ইন্টারসিটিতে নির্ভরযোগ্য এবং আরামদায়ক গণপরিবহন সুবিধা বাড়বে। পরিবেশবান্ধব পরিবহন নিশ্চিত হবে।