বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : চলতি বছরের ডিসেম্বরে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে পরিপূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো: তফাজ্জল হোসেন। ইতোমধ্যে এই কেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর ও কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান তিনি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, সরকার মহেশখালীর মাতারবাড়ীকে কেন্দ্র করে মহেশখালীতে বিভিন্ন মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, এসপিএম প্রকল্প ধলঘাটা অর্থনৈতিক অঞ্চল। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১২শ’ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিটের মধ্যে ৬০০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিটে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে এই ইউনিটের উৎপাদিত পুরো বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৬০ দিনের কয়লা মজুদ রাখা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজও চলমান রয়েছে। এখন থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণকাজ তদারকি করবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো: তফাজ্জল হোসেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি নৌযানে মাতারবাড়ীতে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্রবন্দরের জেটিতে পৌঁছেন।
সেখান থেকে নির্মাণাধীন বন্দর এলাকায় গিয়ে তিনি সমুদ্র বন্দর ও কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এ ছাড়া তিনি মহেশখালীর সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মোস্তফা কামাল, বিদুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল আহমেদ, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মো: মাহফুজুল ইসলামসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।