নিজস্ব প্রতিনিধি : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, স্বাধীনতার সময়ে মানুষ ছিল ৭ কোটি। এদের খাবারের যোগান দিতো আমাদের কৃষক-কিষাণ ভাই ও বোনেরা। আর এখন বাংলাদেশের মানুষ ১৭ থেকে ১৮ কোটি। এ বর্ধিত জনসংখ্যার প্রধান খাদ্য শষ্য সারা বছর ধরে ফলন ফলান আমাদের এ কৃষক। কৃষকবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার কৃষকদের কল্যাণে সবসময়ই তাদের পাশে আছে এবং আগামিতেও থাকবে। মন্ত্রী বলেন, কৃষক বাঁচলে তো মানুষের পেট বাঁচবে।
আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ভবনের অডিটরিয়ামে স্ট্রেনদিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস শীর্ষক কারিগরি প্রকল্পের আওতায় বান্দরবান জেলার কৃষকদের মাঝে আয়বর্ধনকারী শাকসবজির বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন।
পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান সবুজ কৃষি বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। কৃষকদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য ২৫ বিঘা জমি, সমবায় সমিতি, কৃষি ব্যাংক সবকিছুই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের আমলে নির্ধারণ করে গিয়েছিলেন। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্ধারণ করা কাজগুলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য কৃষকদের জন্য পাওয়ার টিলার, পাওয়ার পাম্প, ধান মাড়াই মেশিনসহ বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। মন্ত্রী বলেন, আর এই সারের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় কোন কৃষককে গুলি খেয়ে মৃত্যুর শিকার হতে হয়নি। মন্ত্রী বলেন, এই সরকার কৃষিবান্ধব সরকার।
পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখা যাবে না। আনাচে কানাচে কৃষি শষ্য ফসল, শাক-সবজি উৎপাদন করতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী বীর বাহাদুর ২ হাজার ৪০০ পরিবারের মাঝে ১২ প্রকারের শাক সবজি বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা’র সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সত্যহা পাঞ্জি ত্রিপুরা, ক্যসাপ্রু, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, মূখ্য নির্বাহী মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, নির্বাহী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জুনায়েদ জাহেদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে হাবীবা মীরা প্রমুখ।