ম.ম.রবি ডাকুয়া,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি: বাগেরহাট মোড়েলগঞ্জের আলোচিত ১৭ দিনের ঘুমন্ত শিশু সোহানা চুরি ও হত্যা মামলায় শিশু কন্যার বাবা সুজন খানসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে মোড়েলগঞ্জ থানা পুলিশ। বুধবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর শিশুটি হত্যার সাথে তাদের প্রাথমিক সম্পৃক্ততা পেয়ে রাতেই এ মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেফতার অন্য দু’জন শিশুটির চাচা রিপন খান ও শিশুটির ফুফা হাসিব শেখ।
তবে কী কারণে শিশুটিকে তারা হত্যা করেছে তা এখনও স্পষ্ট করে বলেনি পুলিশ।মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে পুকুর থেকে ১৭ দিনের শিশু সোহানার মরদেহ উদ্ধারের পর দুপুরে সন্দেহভাজন হিসেবে শিশুটির বাবা সুজন খান, চাচা রিপন খান এবং তাদের ভগ্নিপতি হাসিব শেখকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। “দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তারা শিশু সোহানা হত্যার ঘটনায় জড়িত রয়েছে।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে পুকুর থেকে ১৭ দিনের শিশু সোহানার মরদেহ উদ্ধারের পর দুপুরে সন্দেহভাজন হিসেবে শিশুটির বাবা সুজন খান, চাচা রিপন খান এবং তাদের ভগ্নিপতি হাসিব শেখকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। “দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তারা শিশু সোহানা হত্যার ঘটনায় জড়িত রয়েছে। তাই আমরা এই তিনজনকে শিশু হত্যার ঘটনায় রাতে গ্রেপ্তার দেখিয়েছি।”আরও জিজ্ঞাসাবাদের পর শিশু সোহানা হত্যার কারণ উন্মোচিত হবে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তার।
গত রোববার রাতে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামে বাড়িতে ‘ঘুমিয়ে থাকা’ বাবা-মায়ের পাশ থেকে ১৭ দিনের নবজাতক সোহানা উধাও হয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার সকালে সোহানার দাদা আলী হোসেন খান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এক অপহরণের মামলা করেন।চুরি যাওয়ার দুইদিন পর বুধবার সকালে জেলে সুজন খানের বাড়ির পুকুর থেকে সোহানার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।