মাহফুজ আলম, কাপ্তাই (রাঙামাটি) থেকে : যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটি কাপ্তাইয়ের সাপছড়ি বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) দিনব্যাপী সাপছড়ি বৌদ্ধ বিহারে দায়ক-দায়িকাদের উদ্যোগে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়।
এ অনুষ্ঠানে অজিত কুমার তঞ্চঁঙ্গ্যা’র সঞ্চালনায় উ.ক্ষেমিন্দা মহাথেরো সভাপতিত্বে সমবেত পূণ্যার্থীর উদ্দেশ্যে ধর্মদেশনা প্রদান করেন, সুমেদানন্দ মহাথেরো,আশীর্বাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভদন্ত উ. পামোক্ষা মহাথেরো।
প্রধান পূণ্যার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য দীপ্তিময় তালুকদার, বিশেষ পূণ্যার্থী হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন,কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী।এ সময় পূণ্যার্থীরা পঞ্চশীল গ্রহণ, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘ দান, অষ্ট পরিষ্কার দান, কল্পতরুদান ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ডু দানসহ নানাবিধ দান করে ও ধর্ম দেশনা শ্রবণ করে। এ ছাড়াও বিশ্ব শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। পরে দ্বিতীয় পর্বে বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘ দান, অষ্ট পরিস্কার দান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৈরি করা কঠিন চীবরটি দান করেন বৌদ্ধ উপাসক-উপাসিকারা।
সন্ধ্যায় জ্বালানো হয় হাজার বাতি ও উড়ানো হয় ফানুস ।
সাপছড়ি বৌদ্ধ বিহার কমিটি সাধারণ সম্পাদক অজিত কুমার তঞ্চঁঙ্গ্যা’র বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চীবর তৈরি করে তা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দানের মাধ্যমে পূণ্য সঞ্চয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এমন বিশ্বাস থেকে বৌদ্ধ শাস্ত্রে এই দানকে শ্রেষ্ঠ দান বলা হয়।ধর্মীয় শাস্ত্রমতে এ শ্রেষ্ঠ দানে মানুষের পাশাপাশি অবুঝ বন্য প্রাণী হাতিও পূণ্যকর্মে অংশগ্রহণ করে থাকে ।তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ৩ মাস বর্ষাবাসের পরে মাসব্যাপী বিভিন্ন বিহারে বিহারে একবার প্রধান ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এটি আমাদের শ্রেষ্ঠ দানোৎসব।
এসময়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শ’শ পূণ্যার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।