বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : জনগণের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমকে আরও সহজ ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ডিজিটালইড করতে উন্নত দেশের মতো এবার বাংলাদেশে চালু হতে যাচ্ছে রোগীদের জন্য হেলথ আইডি সম্বলিত হেলথ কার্ড। প্রথম দফায় সারা দেশে সবগুলো সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল এবং পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও এই সুবিধার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সবগুলো সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্বাস্থ্য তথ্য আদান-প্রদান এবং নাগরিকদের স্বাস্থ্য তথ্য সংরক্ষণের একক পস্ন্যাটফর্ম প্রস্তুত করার লক্ষ্য নিয়ে ‘শেয়ারড হেলথ রেকর্ড’ বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের উদ্যোগে শুরু হয়েছে এই উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। জাতীয় পরিচয়পত্রে ব্যক্তিগত তথ্যের মতো এই হেলথ কার্ডে থাকবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্বাস্থ্যসেবা তথ্য। কার্ডটি বিনামূল্যে পাওয়া যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, যেসব বেসরকারি হাসপাতাল নিজস্ব অটোমেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করছে, তাদের নিজস্ব সফটওয়্যারকে শেয়ারড হেলথ রেকর্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করা যাবে। এজন্য প্রয়োজনীয় গাইডলাইন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। আর যেসব বেসরকারি হাসপাতালের এই মুহূর্তে কোনো নিজস্ব সফটওয়্যার নেই, তারা নতুন সফটওয়্যার প্রণয়নের ক্ষেত্রে শেয়ারড হেলথ রেকর্ডের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার জন্য কী কী করা লাগবে তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যবহারযোগ্য এবং শেয়ারড হেলথ রেকর্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে উপযুক্ত একটি সফটওয়্যার তৈরিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজ করছে। যেকোনো অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় আইডি ও পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করবে এরপর সফটওয়্যারটি নিজস্ব সার্ভারে ইন্সটল করে প্রয়োজন মতো পরিবর্তন/পরিবর্ধন করে ব্যবহার করা যাবে। তবে অবশ্যই সেসব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ঢাকা মহানগরের মধ্যে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) এবং মানিকগঞ্জ ও গোপালগঞ্জের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান/হাসপাতালে রোগীদের হেলথ আইডি প্রদান কার্যক্রমের পাইলটিং শুরু হয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের শুরুতেই দেশে সবার জন্য হেলথ কার্ড করা হবে বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সেসময় সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে তিনি বলেছিলেন, ‘সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আমরা ডিজিটালাইজড করছি। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করার কারণ হচ্ছে, দেশে সবার জন্য একটি হেলথ কার্ড হবে। এতে সবার স্বাস্থ্যের সব তথ্য থাকবে। অন্যান্য দেশেও এভাবে হেলথ কার্ড থাকে।’