বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য বিজিবির পূর্ণ প্রস্তুতি আছে। অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে যথাযথভাবে আমরা সেই দায়িত্ব পালন করব। পাশাপাশি নির্বাচন সামনে রেখে অস্ত্রের চোরাচালান ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ গ্রুপগুলোর মধ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণেও দেশের সীমান্তে সতর্কতা রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিজিবি ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজে বাহিনীর শততম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম
ও কক্সবাজার অঞ্চলের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
মহাপরিচালক বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে প্রতিদিনই সারাদেশে ২০০-২৫০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছি। অতীতের চেয়ে এখন অনেক বেশি অস্ত্র উদ্ধার করছে বিজিবি। তবে আমি মনে করি, নির্বাচনের সময় সীমান্ত আরও বেশি স্পর্শকাতর হয়ে যায়। সে জন্য আমরা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছি।’
প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বছর সীমান্ত রক্ষার শপথ নিয়েছেন বিজিবির ৩৮ জন নারীসহ ৫৮২ জন নবীন সৈনিক। তাদের তেজোদীপ্ত কুচকাওয়াজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন মহাপরিচালক। তিনি প্রশিক্ষণে সব বিষয়ে সেরা নবীন সৈনিক ইমরান হোসেন সুয়েব, শারীরিক উৎকর্ষে প্রথম ও সব বিষয়ে দ্বিতীয় হওয়া নারী সৈনিক খাদিজা খাতুন, ফায়ারিংয়ে শ্রেষ্ঠ সৈনিক উজ্জ্বল হোসেন এবং পুরুষদের মধ্যে শারীরিক উৎকর্ষে প্রথম সৈনিক জনি হোসেনকে অভিনন্দন জানান।
বাহিনীর আধুনিকায়ন সম্পর্কে মেজর জেনারেল নাজমুল হাসান বলেন, ‘বিজিবি আজ ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে জল, স্থল ও আকাশপথে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সক্ষম। বিজিবিতে যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার, এপিসি, এটিভি, আরসিভি, এয়ার বোট, অত্যাধুনিক এন্টি ট্যাঙ্ক অস্ত্র, জলযানসহ আধুনিক সরঞ্জামাদি। ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজিবির রিক্রুটিং ব্যবস্থাকে ই-রিক্রুটিংয়ে রূপান্তর করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিওপিগুলোকে আনা হয়েছে যোগাযোগের আওতায়। ক্যাপাসিটি ম্যাক্স এবং রিপিটারের মাধ্যমে সারাদেশে বিজিবির যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।’