বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বৃহস্পতিবার শপথ নিচ্ছে নতুন মন্ত্রিসভা। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ নতুন এই মন্ত্রিসভা গঠন করবে। টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ঘোষণা অনুযায়ী আসছে ‘স্মার্ট মন্ত্রিসভা’। নতুন এই মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন, কারা বাদ পড়ছেন এ নিয়ে আলোচনা চলছে। এবার মন্ত্রিসভায় দুই-তৃতীয়াংশ নতুন মুখ আসছে বলে শোনা যাচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহেই নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা পথচলা শুরু করবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শপথের জন্য নতুন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের তালিকা এখনো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পৌঁছেনি। বৃহস্পতিবার তাঁদের কাছে তালিকা পৌঁছার কথা। তালিকা পেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শপথ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে দেওয়া হবে। সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে ৪০ গাড়ি ও চালক চাওয়া হয়েছে। শপথ অনুষ্ঠানে তিন বাহিনীর প্রধান, সচিব, সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত, হাই কমিশনার ও মিশন প্রধান ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। এর আগে আজ বুধবার নবনির্বাচিত এমপিদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। জাতীয় পার্টি ১১টি, আওয়ামী লীগের শরিক জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি ২টি, কল্যাণ পার্টি ১টি এবং বাকি আসনগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
নতুন পুরনো মিলে গঠিত হতে যাচ্ছে নতুন ‘স্মার্ট মন্ত্রিসভা’ মন্ত্রিসভা। এবার এতে আসতে পারে বেশকিছু নতুন মুখ। বাদ পড়বেন কয়েকজন বিতর্কিত, সমালোচিত অদক্ষ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী। মন্ত্রিসভায় কারা থাকবেন এটি কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রী নিজে তাঁর পরিষদের সদস্যদের বাছাই করবেন। গত পাঁচ বছর যারা ভালো কাজ করেছেন, সাফল্য দেখিয়েছেন তারাই মন্ত্রিসভায় টিকে থাকবেন। নতুন করে যুক্ত হবেন দলের সিনিয়র ও ত্যাগী ও দক্ষ নেতারা।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবারই নানা হিসাব-নিকাশ থেকে মন্ত্রিসভা গঠন করে থাকেন। এর মধ্যে সৎ, ত্যাগী এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নেতা-নেত্রীদের পাশাপাশি দক্ষ ব্যক্তিরাও স্থান পান। সরকার পরিচালনায় প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের প্রয়োজনে টেকনোকেট কোটায় মন্ত্রী নিয়োগ করেন। এমন হিসাব-নিকাশে গত মেয়াদে যারা মন্ত্রিসভায় ছিলেন না এমন কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে।
তাদের মধ্যে রয়েছেন ১৪ দলের অন্যতম সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী, সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, আসাদুজ্জামান নূর, মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব এবং দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাতের নাম আলোচনায় রয়েছে।
এ ছাড়া চমক হিসেবে থাকছে বেশকিছু নতুন মুখ। জেলা পর্যায়ের প্রবীণ কয়েকজনকে নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হতে পারে। মহাজোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে ছাড় দেওয়া কয়েকজনকে টেকনোক্রেট কোটায় মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হতে পারে। এদের মধ্যে সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না, ঠাকুরগাঁওয়ের প্রবীণ নেতা ইমদাদুল হকসহ আরও কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। মহাজোটের স্বার্থে তাদের আসনগুলো ছেড়ে দিতে হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধান চন্দ্র মজুমদার, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম নতুন মন্ত্রিসভায়ও যুক্ত হতে পারেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে শপথ অনুষ্ঠানটা বঙ্গভবনে হয়। এ বছরও বঙ্গভবনেই হবে। প্রস্তুতির মধ্যে কি কি বিষয় রয়েছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, যেখানে শপথ হয়, সেখানকার একটা প্রস্তুতি রয়েছে। ইনভাইটেশনের একটি তালিকা করতে হয়, সেই তালিকা করছি। ইনভাইটেশন কার্ড করতে হয়, সেটি আমরা করছি। বঙ্গভবনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এটার জন্য কিছু কাগজপত্র তৈরি করতে হয়, সেটা করছি। নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের জন্য ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ জনকে দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে।
যারা শপথ নেবেন তাদের তালিকা আপনাদের কাছে এসেছে কি না? যারা শপথ নেবেন তাদের আপনারা ফোন দিচ্ছেন কি না? নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের বায়োডাটা আপনাদের কাছে এসেছে কি না? নতুন মন্ত্রিসভা কত সদস্য বিশিষ্ট হচ্ছে? এসব প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তুতির ওই অংশে আমরা এখনো কাজে যাইনি। যখন আমরা নির্দেশনা পাব, তখনই কাজ শুরু করব। আমি এখনো সেই নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।
বঙ্গভবনে প্রথমে রাষ্ট্রপতি শপথ পড়াবেন প্রধানমন্ত্রীকে। এরপর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রীদের শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি। শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে তারাই হবে দেশের নতুন সরকার। শপথ নেওয়া পর্যন্ত আগের মন্ত্রিসভা বহাল থাকবে। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে আগের মন্ত্রিসভা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার গেজেট প্রকাশের পর তাদের শপথ পড়ানো হবে। এরপর সংসদ সদস্যরা বৈঠক করে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন করবেন। রাষ্ট্রপতি সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন এবং প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পড়ানো হবে। এরপর মন্ত্রিসভা সদস্যদের শপথ গ্রহণের মাধ্যমে নতুন সরকারের যাত্রা শুরু হবে।
মন্ত্রিসভা গঠন প্রসঙ্গে সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, যিনি সংসদ সদস্য, সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন বলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতীয়মান হবেন, রাষ্ট্রপতি তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্ধারণ করবেন, সেভাবে অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর। সেই নির্বাচনে ২৬৩টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা, গঠন করেন ৩২ সদস্যের মন্ত্রিসভা। এর ১৮ দিন পর মন্ত্রিসভায় যুক্ত হন আরও ছয়জন। এরও দুই বছর ১০ মাস পর আরও দুই জনকে মন্ত্রী করা হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে মোট ১৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়।
সেবার নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি ও এর নেতৃত্বাধীন জোট। ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পায় আওয়ামী লীগ ও এর শরিক দলগুলো। ওই বছরের ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। তখন অধিকাংশ পুরনো মন্ত্রী বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত নতুন ও আগের সরকারের সময় দলের বাদ পড়া জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে সরকার গঠন করা হয়। মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৯ জন মন্ত্রী, ১৭ জন প্রতিমন্ত্রী ও দুইজন উপমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে মন্ত্রিসভার আকার আরও বাড়ানো হয়।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জোট মিলে ২৮৮টি আসন পায়। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট পায় মাত্র সাতটি আসন। এছাড়া তিনটি আসন পায় অন্যরা। ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিসভার আকার হয় ৪৭ জনের। এর মধ্যে নতুন মুখ ছিলেন ৩১ জন। পাশাপাশি ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর গঠিত মন্ত্রিসভায় ছিলেন এমন অনেকেও এই মন্ত্রিসভায় স্থান পান।
চট্টগ্রাম থেকে করা হবেন মন্ত্রী ॥ স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম থেকে জানান, দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে চট্টগ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সে বিবেচনায় প্রতিটি সরকারের মন্ত্রিসভায় চট্টগ্রাম থেকে বেশক’জন নেতা স্থান পেয়ে থাকেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সম্ভবত নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে কাল বৃহস্পতিবার। সঙ্গত কারণেই আলোচনা চলছে চট্টগ্রাম থেকে এবার কারা মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তা নিয়ে।
একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের মধ্য থেকে মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছিলেন চট্টগ্রামের ৩ নেতা। তারা হলেন- তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এ ছাড়া পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় জাতীয় সংসদের হুইপ ছিলেন। এবার তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছেন।
বিদায়ী সরকারের মন্ত্রিসভায় যে ৩ জন সদস্য স্থান করে নিয়েছিলেন তারা সবাই আলোচনায় রয়েছেন। এ তিনজন কি এবারও থাকছেন না এখান থেকে কেউ বাদ পড়ে নতুন কেউ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন এ নিয়ে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা চট্টগ্রামে। যদি নতুন কেউ অন্তর্ভুক্ত হয় সেক্ষেত্রে যে দু’জনের নাম বেশি আলোচনায় তারা হলেন বন্দর-পতেঙ্গা আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এমএ লতিফ এবং রাউজান আসন থেকে নির্বাচিত এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। এর মধ্যে লতিফ টানা চারবারের এবং ফজলে করিম পাঁচবারের সংসদ সদস্য।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলার রাঙ্গুনীয়া, দক্ষিণ জেলার আনোয়ারা এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি-বাকলিয়া আসনের ভোটারদের আশা, তাদের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান এবারও মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন।
এদিকে, নতুন মন্ত্রিসভায় নতুন মুখের অন্তর্ভুক্তি ঘটতে পারেÑএমন আলোচনাও রয়েছে। এর মধ্যে আলোচিত হচ্ছে বন্দর-পতেঙ্গা আসনের এমপি এমএ লতিফ এবং রাউজানের এমপি ফজলে করিম চৌধুরীর নাম।
লতিফের সম্ভাবনা চারবারের এমপি হওয়ার পাশাপাশি আসনটির গুরুত্ব বিবেচনায়। এ আসনের সংসদ সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী, যিনি বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। আমীর খসরুর পর আসনটির ভোটাররা আর মন্ত্রী পায়নি। অপরদিকে, ফজলে করিম চৌধুরী একটানা পাঁচবারের এমপি। এলাকায় তিনি অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। তাঁকে মন্ত্রী করা হোক, এমন দাবি রয়েছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে।