বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : জঙ্গি, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও গুরুতর অপরাধের আসামি ছাড়া নির্বিচারে ডান্ডাবেড়ি না পরানোর নির্দেশনা এসেছে উচ্চ আদালত থেকে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের জারি করা পরিপত্র মেনে চলার আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
বাবার জানাজার নামাজে এক ব্যক্তিকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাজির করানোর ঘটনায় করা রিট আবেদনের ওপর শুনানিতে এমন আদেশ দিয়েছে আদালত।
কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজিরা বা অন্য স্থানে নেওয়ার বিষয়ে ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর ও গত বছরের ১২ জুন পৃথক দুটি পরিপত্রে প্রায় অভিন্নভাবে বলা হয় জঙ্গি, শীর্ষ সন্ত্রাসী, দুর্ধর্ষ, গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত বন্দিদের আদালতে হাজিরা বা অন্যত্র স্থানান্তরের সময় ডান্ডাবেড়ি পরানো ও সুচারুরূপে তল্লাশি এবং নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
কিছুদিন আগে পটুয়াখালী উপজেলার মির্জাগঞ্জের পশ্চিম সুবিদখালী এলাকায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাজমুল মৃধাকে তার বাবা মো. মোতালেব হোসেন মৃধার মৃত্যুতে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে তাকে বাবার জানাজায় হাজির করা হয়। নাজমুলকে বিস্ফোরক মামলায় গত ২০ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। জানাজা শেষে তাকে আবারও পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আসার পর গত ১৫ জানুয়ারি তা হাইকোর্টের নজরে এনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আরজি জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আদালত এক পর্যায়ে আইনজীবীকে রিট আবেদন করার পরামর্শ দেয়। পরে নির্বিচারে ডান্ডাবেড়ি পরানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় পরিপত্র মেনে চলার এ নির্দেশনা আসে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, কারা অধিপ্তরের এই পরিপত্রে স্পষ্ট বলা হয়েছে কাদের ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে। কিন্তু যাকে-তাকে ডা-াবেড়ি পরানো হচ্ছে। আদালত তাদের বক্তব্য শুনে এ আদেশ দিয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ডান্ডাবেড়ি নিয়ে কারা অধিদপ্তরের পরিপত্রটি মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।