বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ’৭৩-পরবর্তী দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম সরকারি দলের পাশাপাশি ক্ষুদ্রতম বিরোধী দল নিয়ে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) যাত্রা করল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ। উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে শুরু হওয়া এই সংসদের প্রথম অধিবেশনটি ছিল উৎসবমুখর। এতে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সংসদের সূচনাতেই স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। আর সংসদে প্রধান হুইপ নিয়োগ পেয়েছেন নূর-ই-আলম চৌধুরী। এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো স্পিকার হওয়ার বিরল সম্মান অর্জন করলেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। স্পিকার নির্বাচনের পর সংসদের অধিবেশন ২০ মিনিটের জন্য মুলতবি করা হয়। মুলতবির সময় সংসদ ভবনের সপ্তম তলায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পুনর্নির্বাচিত স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় চিফ হুইপসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। শপথগ্রহণ শেষে ফের অধিবেশন শুরু হলে স্পিকারের আসনে বসেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। নবনির্বাচিত স্পিকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন সরকারি দলের সিনিয়র সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং বিরোধী দলের নেতা জিএম কাদের।
এর আগে বেলা ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর আগে দুপুর ১২টার পর থেকেই পুরো সংসদ ভবন নবীন-প্রবীণ সংসদ সদস্যের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৩ আসনে বিজয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকারি দলের আসনে বসে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আর সংসদীয় ইতিহাসে এবারই প্রথম রেকর্ড সংখ্যক ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য দ্বাদশ সংসদে বসেছেন। উদ্বোধনী অধিবেশন দেখতে ভিআইপি গ্যালারিসহ দর্শনার্থী গ্যালারিও ছিল পরিপূর্ণ।
সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ভারত, জার্মানি, রাশিয়া, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ ৮০ জন কূটনীতিক অধিবেশন দেখতে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন। স্পিকার নির্বাচনের পর ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ফের সংসদ অধিবেশন শুরু হলে প্রথমেই তিনি ডেপুটি স্পিকার পদে নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করেন। ওই পদে একটিমাত্র মনোনয়ন জমা পড়ে। ফলে দ্বিতীয়বারের মতো ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। তার পক্ষে প্রস্তাব করেন সরকারি দলের সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, সমর্থন করেন সরকারি দলের অপর সদস্য মকবুল হোসেন। এরপর স্পিকার প্রস্তাবটি ভোটে দিলে কণ্ঠভোটে সর্বসম্মতিক্রমে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন সম্পন্ন হয়। অধিবেশন শেষে ডেপুটি স্পিকারকেও শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তার স্বাগত বক্তব্যে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হওয়ায় আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করে সংসদীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে আপনারা সংসদে এসেছেন। সবকিছু উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য দেশবাসীকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, জাতির আলোকবর্তিকা হয়ে টানা চতুর্থবারসহ মোট পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরও এগিয়ে যাবে। দেশের সকল অর্জন টেকসই করতে জাতীয় সংসদে আপনারা কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন, এটাই আমার প্রত্যাশা। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্যদের গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে।
৫ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলী মনোনীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের জন্য ৫ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলী মনোনীত করা হয়েছে।তারা হলেন ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, আ ফ ম রুহুল হক, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, উম্মে কুলসুম স্মৃতি। অধিবেশন শুরুর পর নতুন স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে শিরীন শারমিন চৌধুরী এই অধিবেশনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন।
স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে নামের অগ্রবর্তিতা অনুসারে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা সংসদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে শোকপ্রস্তাব পেশ করেন।
যাদের নামে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ
কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহসহ দেশের এক সাবেক মন্ত্রী, এক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও একজন সাবেক সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। অন্য যাদের নামে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, তারা হলেনÑ সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জিনাতুন নেসা তালুকদার ও নবম জাতীয় সংসদের সাবেক সংসদ সদস্য (নওগাঁ-৩ আসন) আকরাম হোসেন চৌধুরী।
এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (গণসংযোগ) বেগম লাবণ্য আহমেদ, সিনিয়র সহকারী সচিব খন্দকার আবদুল মুত্তালিব, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ও কেয়ারটেকার মুনির উদ্দিন আহম্মদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আনোয়ার, জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল মালিক, জার্মানির কিংবদন্তি ফুটবলার ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার ও সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দীপুর মৃত্যুতে সংসদের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়। জাপান ও নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প, চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হেনান প্রদেশে কয়লা খনিতে দুর্ঘটনা, রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড, গাজীপুরের ভাওয়ালে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ফেরিডুবি এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে জাতীয় সংসদ গভীর শোক প্রকাশ, সকল বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতির ভাষণ প্রদান
এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ভাষণ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে সংসদ অধিবেশনে আহ্বান জানান। বিউগল বাজানোর মধ্য দিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করলে সবাই দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান জানান। স্পিকারের পাশের আসনে বসেন রাষ্ট্রপতি। এরপর নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন তিনি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই ছিল মো. সাহাবুদ্দিনের জাতীয় সংসদে প্রথম ভাষণ। ভাষণ প্রদান শেষে রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করলে স্পিকার সংসদ অধিবেশন আগামী রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেন।
সংসদের প্রথম সারিতে বসলেন যারা
সরকারি বেঞ্চের (স্পিকারের ডান পাশে) প্রথম আসনে বরাবরের মতো সংসদনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বসেছেন। এরপরের আসনটি ফাঁকা রয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আমির হোসেন আমু, আ ক ম মোজাম্মেল হক, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, ওবায়দুল কাদের ও তোফায়েল আহমেদ বসেন। মাঝের (স্পিকারের মুখোমুখি) অংশের প্রথম সারির বামদিকের (স্পিকারের দিকে মুখ করে) প্রথম আসনে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বসেছেন। এরপর পর্যায়ক্রমে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এবং শেষ আসনে বসছেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। বিরোধীদলীয় বেঞ্চের (স্পিকারের বামদিকে) প্রথম আসনে বসছেন বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তার বাঁয়ে বসছেন সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এরপর পর্যায়ক্রমে বসেছেন জাতীয় পার্টির রুহুল আমিন হাওলাদার, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, স্বতন্ত্র এমপি হুসামউদ্দিন ও আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশন কক্ষে সদস্যদের আসন বিন্যাসে বড় ধরনের পরিবর্তন আসেনি; তবে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সবাই একদিকে বসেছেন। মন্ত্রীরা বসেছেন প্রধানমন্ত্রীর পেছনের সারিতে, তার পেছনে বসেছেন প্রতিমন্ত্রীরা।
অধিবেশন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে সালাম করতে ভিড়
অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণ আগে সংসদ কক্ষে প্রবেশ করেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সালাম ও কুশল বিনিময় করেন সংসদ সদস্যরা। সেখানে সরকারদলীয় এমপিদের চেয়েও স্বতন্ত্র এমপিদের অংশগ্রহণ বেশি দেখা গেছে। জাতীয় পার্টির দুয়েকজন এমপিকেও প্রধানমন্ত্রীকে সালাম দিতে দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে স্যালুট করেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে। কয়েকজন এমপিকে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে।
এমপিদের সেলফি
চলতি সংসদে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন শতাধিক এমপি। গতকাল প্রথম অধিবেশনে যোগ দিয়ে তারা সেলফিতে মেতে ওঠেন। পাশাপাশি এক এমপি আরেক এমপির ছবি তুলে দেন। কেউ কেউ সংসদের একপাশে দাঁড়িয়ে পুরো অধিবেশন কক্ষের ছবি তোলেন। বেলা ৩টায় অধিবেশন থাকলেও দুপুর ২টা ৩০ মিনিট থেকে অধিবেশন কক্ষে আসতে শুরু করেন এমপিরা। প্রথমে তারা নিজেদের আসন খুঁজে নেন। এরপরই মেতে ওঠেন ছবি তুলতে। পরে একাধিক এমপির ফেসবুকে সংসদ অধিবেশন কক্ষে তোলা সেলফি ও ছবি আপলোড করতে দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রীর চিরকুট
অধিবেশনের শুরুর দিকে স্পিকার নির্বাচন করা হয়। এরপরই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপরই বক্তব্য দিতে শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে ফ্লোর দিলে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী হাত তোলেন। স্পিকার ইশারায় তাকে বসার অনুরোধ জানিয়ে শেখ সেলিমকে ফ্লোর দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাতের ইশারায় লতিফ সিদ্দিকীকে বসার অনুরোধ জানান। পরে বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদেরকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ফ্লোর দেন স্পিকার। তখন আবারও দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখার জন্য হাত তোলেন লতিফ সিদ্দিকী। সেবারও তাকে বসার অনুরোধ জানান স্পিকার। এরপর প্রধানমন্ত্রী কাগজে একটি চিরকুট লিখে পাঠান লতিফ সিদ্দিকীর কাছে। তাতে কী লেখা ছিল তা জানা না গেলেও এরপরই আর বক্তব্য রাখার জন্য দাঁড়াননি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত এমপি লতিফ সিদ্দিকী।
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়া আওয়ামী লীগ এবার টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করেছে। নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হওয়া ২৯৯টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২৩টি। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন। স্থগিত হওয়া নওগাঁ-২ আসনে ভোট হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনের পর ১০ জানুয়ারি সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। সরকার গঠিত হয় পরদিন ১১ জানুয়ারি।
প্রথম অধিবেশনে অনুপস্থিত মাশরাফি-সাকিব
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তজা। পেয়েছেন হুইপের দায়িত্বও। অন্যদিকে তারই সতীর্থ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও এবার প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে দুজনের কেউই জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ব্যস্ততার কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে পারেননি সাকিব-মাশরাফি।