বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ভারত থেকে আলু আমদানির খবরে খুচরা ও পাইকারি বাজারে কমেছে আলুর দাম। কেজিপ্রতি ৮-১০ টাকা কমে বর্তমানে দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২২ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতীয় আলু দেশের বাজারে প্রবেশ করায় আলুর দাম কমেছে। এতে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
সম্প্রতি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু রমজানের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারতের হাইকমিশনের কাছে দেশের জন্য আলু ও চিনি আমদানির কথা জানিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কৃষি মন্ত্রণালয় আলু আমদানির জন্য আইপির অনুমোদন দেয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, গেল তিন দিনে প্রায় ৯৪ হাজার টন আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০০ টন আলু দেশে এসেছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাইকারিতে দুদিন আগে ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া আলুর কেজিতে ১০ টাকা কমে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকায়। এ ছাড়া খুচরা বাজারে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে প্রতি কেজি আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। যা দুদিন আগেও প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। তাছাড়া পাড়া-মহল্লায় ভ্যানে করে প্রতি কেজি আলু ৩৩ থেকে ৩৫ টাকায় মাইকিং করেও বিক্রি করতে দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারের আলুর পাইকার সোহেল দেশ রূপান্তরকে বলেন, হঠাৎ করে দেশের বাজারে আলুর দর পড়ে গেছে। দুদিন আগে প্রতি কেজি আলু ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকায়।
মোহাম্মদপুর টাউন হলের সবজি ব্যবসায়ী মুরাদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ভারতের আলু আমদানির পর থেকে দেশের পাইকারি বাজারে আলুর দাম কমেছে। আগের কেনা আলু বিক্রি করছি ৪০ টাকায়। নতুন দামে কেনা বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা করে।
মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী হামিদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ভারত থেকে আলু আসার খবরে দাম কমেছে। এতে আমাদের সাধারণ মানুষদের অনেক উপকার হয়েছে। তবে পেঁয়াজের দাম এখনো কমেনি। আমরা চাই ভারত থেকে সরকার পেঁয়াজ আমদানি করুক। তাহলে পেঁয়াজের দামও অনেক কমে যাবে। কারণ সামনে রমজান মাস, পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকে, আর এ সুযোগটা কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে। এতে করে কষ্ট পোহাতে হয় সাধারণ মানুষদের।