বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মিয়ানমারের ভেতরে তাদের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘাত চলছে। আমাদের সীমানার মধ্যে এসে গোলাবারুদ পড়ছে। ইতোমধ্যে মিয়ানমারের ১৪ সেনা সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছেন। আমরা তাদের ফেরত দেব। আর কাউকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। রোববার বিজিবির মহাপরিচালকের বিদায় এবং নতুন মহাপরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। একইদিন সচিবালয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। তাছাড়া বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিয়ে সংকটে আছি। এসব বিষয়ে আমরা চীনের সহযোগিতা চেয়েছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আমাদের কথা হচ্ছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার দখলে থাকা অনেক শহর ও এলাকা বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলেও খবর আসছে। প্রভাব পড়ছে সীমান্তের এপারের জনগোষ্ঠীর মধ্যেও। ওপারের যুদ্ধের গুলি ও মর্টার শেল এপারে এসে পড়ায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
এদিকে চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে চায়না একটি ভূমিকা নিতে পারে। রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য একটি বিরাট বোঝা। এমনিতেই বৈশ্বিক কারণে আমরা সংকটে আছি। এদের জন্য যে সাহায্য আসত সেটিও আগের থেকে অনেক কমে গেছে। তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে চীন ভূমিকা পালন করতে পারে। সেই বিষয়ে আমি বলেছি। তিনি বলেন, আমরা তাদের (চীন) হস্তক্ষেপ আশা করেছি। চীনের রাষ্ট্রদূত সব কিছুতেই ইতিবাচকভাবে জবাব দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ভূ-রাজনীতিতে ভারত ও চীনের একটা শক্তি বলয় রয়েছে। তাদের কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট আছে। ওগুলোর মধ্যে আমরা নাক গলাতে যাই না। আমাদের ওগুলোর দরকার নেই। আমরা আমাদের স্বার্থ নিয়ে বলব। প্রতিবেশী দেশ হিসাবে আমরা যেন তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের শিকার না হই। আমাদের যেন কোনো ক্ষতি না হয়।
এদিকে রোববার সচিবালয়ে একজন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ফের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়নি বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এর আগে ম্যাথু মিলার যা বলেছেন, পিটার হাসের বক্তব্য সেই একই। তবে তারা এটা বলেনি যে, এই নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ হয়েছে। এ ধরনের মন্তব্য তারা করেননি। এটা হলো চরম মন্তব্য। যে মন্তব্যটা করলে হয়তো খারাপ কিছুর আশঙ্কা করা যেত। বিএনপি এবং সমমনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি তাই নির্বাচনটা খারাপ হবে, এটা তো মনে করার কোনো কারণ নেই। যাক, সম্পর্ক তো আছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে সেটার আরও অগ্রগতি হবে।
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলার পরও তাদের সঙ্গে কাজ করতে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে কিনা-জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কাজ করতে আবার দ্বিধাদ্বন্দ্বের কী আছে, তারা তো বলেছে তারা কাজ করতে আগ্রহী। আমরা গায়ে পড়ে সম্পর্ক খারাপ করব না। কোনো প্রয়োজন তো নেই। সারা পৃথিবী এখন সংকটে। এ সময় গায়ে পড়ে ঝগড়া বাঁধানোর কোনো প্রয়োজন নেই।