বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : সিটি করপোরেশনের সচিবের নাম হবে নির্বাহী কর্মকর্তা । গ্রাম আদালতের জরিমানা করার ক্ষমতা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন ২০২৪ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) আইন, ২০২৪’-এর খসড়ারও নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন আইনে সিটি করপোরেশনের সচিবকে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।
গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে দুটি আইনের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বৈঠকের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব গ্রাম আদালতের বিষয়ে বলেন, গ্রাম আদালতের আর্থিক ক্ষমতা (জরিমানা করার ক্ষমতা) ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার আইন নিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশনের কোনো কাউন্সিলের পদ শূন্য হলে সেখানে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর দায়িত্ব পাবেন। এমন বিধান রাখা হয়েছে আইনে। তিনি বলেন, আগে যেটা ছিল কোনো কাউন্সিলর যদি অনুপস্থিত থাকতেন বা যদি উনি বিদেশে যান বা শূন্য হতো কোনো কারণে, পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দায়িত্ব পেতেন। কিন্তু এখন যদি শূন্য হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তখন ওখানকার সংরক্ষিত আসনের যিনি কাউন্সিলর আছেন, তাকে ওই দায়িত্ব দিতে হবে, সেই বিধান আসছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা এখন ওয়াসা থেকে সিটি করপোরেশনে চলে আসছে। পুরো কাজটিকে আনার জন্য যে পরিবর্তন দরকার, সেটা এখানে আনা হয়েছে। সংশোধিত আইনে, সিটি করপোরেশনের এলাকা সরকার গেজেট দিয়ে নির্ধারণ করতে পারবে এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আগে ছিল একটা করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে, এখন যেটা পরিবর্তন আসছে সেটা ৯০ দিনের মধ্যে করতে হবে। প্রত্যেকটা সিটি করপোরেশনে এখনকার আইনে প্রায় ১৪টি কমিটি গঠন করার কথা বলা আছে, বিভিন্ন টাইপের কমিটি আছে। এখানে আরও সাতটি কমিটি যোগ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের সচিবকে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।