নিজস্ব প্রতিনিধি : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে এদেশের আপামর মানুষ জনযুদ্ধের মাধ্যমে এদেশের বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। তিনি বলেন, কষ্টার্জিত বাংলাদেশকে এদেশেরেই মানুষ রক্ষা করেছে। তাই কষ্টার্জিত বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি দল বারবার পাহাড়ি-বাঙ্গালীদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির প্রাচীর তৈরি করে রাখতে চায়। এসব অপশক্তি দল থেকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, এদেশ আমাদের। আমরা কষ্টের মাধ্যমে এদেশ অর্জন করেছি। কষ্টার্জিত এদেশের ভাবমূর্তি অপপ্রচার ও অসত্য তথ্য দিয়ে বিদেশের কাছে যারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়, তাদেরকে রুখে দিতে হবে হুশিয়ার দিয়ে বলেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
আজ মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিনী মিসেস মল্লিকা ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য এডভোকেট আশুতোষ চাকমা, জেলা পরিষদের সদস্য মংক্যচিং চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য হিরণজয় ত্রিপুরা, জেলা পরিষদের সদস্য খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. সুধীন বাবু, খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মধু মঙ্গল চাকমা, উপজেলাসমূহের চেয়ারম্যানবৃন্দসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত, বঞ্চিত মানুষকে মুক্ত করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুগোপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর এ উদ্যোগের ফসল হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পশ্চাদপদ মানুষদের দেশের উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্র্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গড়ে তুলেন। সেই থেকেই এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার। এ সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই সরকার এখানে স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের যে ধারা শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সকলকে আন্তরিকভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। তবেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা সত্যিকারভাবে বাস্তবায়ন হবে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা দেশের সুনাম বিনষ্টকারীদের উদ্দেশে বলেন, যারা এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চায় না, যারা এদেশের মানুষের উন্নয়ন চায় না- যারা এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য অবদান রাখেন না, তারাই এদেশের শত্রু। তারা এদেশকে তাবেদার বানাতে চায়। যারা বিদেশে অসত্য তথ্য দিয়ে দেশের অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, তাদের এ ধরনের অপচেষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের মানুষ নস্যাৎ করে দিবে।
অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রদর্শনী ও খাগড়াছড়ির শিশু কিশোর, আবাল বৃদ্ধ বণিতা সকলেই ফুল দিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে বরণ করে নেন।