নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনার হিমাইতপুর শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের আসন্ন মহোৎসব উপলক্ষে শনিবার বিকেলে আশ্রমের লাইব্রেরি কক্ষে আইন শৃংখলা কমিটির মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।
এমপি নির্দেশিত আহবায়ক কমিটির আহবায়ক, ২০২৩-২৮ মেয়াদী কমিটির সভাপতি গোপীনাথকুন্ডুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে সাধারণ সম্পাদক তাপস বর্মণ পূর্ববর্তী কমিটির অধীনেই মহোৎসব হবে এমন দাবী উত্থাপনের সাথে সাথে আওয়ামীলীগ নেতা শাহাজাহান মামুন, পৌর কাউন্সিলর শাহীন ও রাজিব কমিশনারসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবর্গ হট্টগোল শুরু করেন। মারমুখী পরিস্থিতিতে আশ্রমের নেতা কর্মি ও অনুসারী ভক্তদের বাধ্য করা হয় এমপি নির্দেশিত আহবায়ক কমিটি মেনে নেয়ার জন্য। একই সাথে আশ্রমের আসন্ন তিনদিনের উৎসব ওই কমিটির অধীনে অনুষ্ঠিত হবে বলে চাপিয়ে দেয়া হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান মামুন বলেন, এমপিকে অসম্মানিত হতে দেবো না আমরা। তার নির্দেশনায় আশ্রমের জন্য যে আহবাক কমিটি করা হয়েছে ওই কমিটির অধীনেই উৎসব করতে হবে।
আশ্রমের সাধারন সম্পাদক ও আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব তাপস বর্মণ বলেন, জীবনের ভয় কার নেই। এমপি মহোদয় আহবায়ক কমিটি গঠন করে দিয়েছেন এখন এটাই মেনে নিতে হবে।
আশ্রম সংশ্লিষ্টরা বলেন, এমপি মহোদয় যে আহবায়ক কমিটি করে দিয়েছেন তা মেনে না নিয়ে এমপিকে লিখিত ভাবে জানানো হয়। কিন্তু এমপি মহোদয় চিঠি পেয়ে আশ্রমের সভাপতি গোপীনাথ কুন্ডু ও সহ সভাপতি যুগোল কিশোর ও স্থানীয় কমিশনার শাহীনকে ডেকে নিয়ে তার নির্দেশনায় আহবায়ক কমিটি মেনে নিয়ে কাজ করতে বলেন। পরে ৩ মাসের মধ্যে এমপি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
তারা বলেন, আশ্রমের কমিটি গঠন করা হয় সাংবিধানিক নিয়মে শীষ্য পরিষদ ও জেলার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সভা করে। হুট করেই এ কমিটি বিলুপ্ত করা বা ভেঙে দেয়া যায় না। যে কারনে আহবায়ক কমিটি নিয়ে ঠাকুর অনুসারীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার ক্ষমতাাধরদের এমন আচরণে দীর্ঘদিন ধরে যুগের পর যুগ ধরে উদযাপিত হওয়া আসন্ন এবারের দোল উৎসব নিয়ে ঠাকুর ভক্তদের উদ্বেগ উৎকন্ঠা তৈরি হয়েছে।