বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বিকাশমান পাঁচ অর্থনীতির দেশের জোট ব্রিকসের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে ব্রাজিল। সফররত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওরো ভিয়েরা গতকাল রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ব্রাজিলের পক্ষ থেকে ব্রিকসে বাংলাদেশের সদস্য পদ পেতে দৃঢ় সমর্থন ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখা হবে।
ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দিনের সফরে গতকাল সকালে ঢাকায় পৌঁছান।
দুপুরে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে কারিগরি সহযোগিতাবিষয়ক একটি চুক্তি সই হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা বলেন, ‘ব্রিকসে নতুন করে সদস্য পদ বাড়ানোর পর এ বছর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রথম বৈঠক হবে। নীতিগত এবং অবস্থান বিবেচনায় বাংলাদেশ আমাদের ঘনিষ্ঠ।
আমরা বাংলাদেশের সদস্য পদের বিষয়টি বিবেচনা করব। ব্রাজিলের পক্ষ থেকে দৃঢ় ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখা হবে।’
উল্লেখ্য, গত বছর আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে ব্রিকসের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণা আসে। নতুন করে পাঁচটি দেশ এ জোটের সদস্য পদ পেয়েছে।
দেশগুলো হলো সৌদি আরব, ইরান, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইথিওপিয়া। সব মিলিয়ে ব্রিকস এখন ১০ সদস্যের একটি জোট। বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য পদ পাচ্ছে, এমন আশার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি।
এদিকে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর ব্রাজিল সফর নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আগামী জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিল সফর করতে পারেন।
প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভার পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য ব্রাজিল সফরের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে এসেছেন জানিয়ে ভিয়েরা বলেন, আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি ওই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেবেন।
অন্যদিকে আগামী কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আমদানির সম্ভাব্যতা নিয়ে ভাবছে সরকার। গতকাল সফররত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকার একটি হোটেলে বৈঠক শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্রাজিল থেকে অত্যন্ত কম দামে গরুর মাংস আমদানির বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মূলত আমাদের দেশের যে সম্ভবনা, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের দেশ থেকে পোশাক পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চাই।’