পাবনা প্রতিনিধি : আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক সুজানগর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল ওহাব ৯ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদের মনোনয়নপত্র অনলাইনে জমা দিয়েছেন।
অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় পাবনা জেলা নির্বাচন অফিসে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করে এই চেয়ারম্যান প্রার্থী।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল ওহাবের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার খবরে জনপ্রতিনিধি, বীরমুক্তিযোদ্ধা, নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন।
মানিকহাট ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম শফি, ভায়নার আমিন উদ্দিন, সাতবাড়িয়ার বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, নাজিরগঞ্জ মশিউর রহমান খান, সাগরকান্দির শাহীন চৌধুরী, রানীনগরের জিএম তৌফিকুল আলম পিযুষ, আহম্মদপুরের সোহানুর রহমান সবুজ, দুলাইয়ের সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান ও তাঁতিবন্দের আব্দুল মতিন মৃধা, উপজেলা মুক্তিযাদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল মজিদ সরদার, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাইসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌরমেয়র আলহাজ্ব আব্দুল ওহাব বলেন, উপজেলার ৯ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ আমার পাশে আছেন। নির্বাচন ঘিরে সবাই আমার পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে উপজেলাবাসী নানা কারনেই জিম্মি হয়ে পড়েছেন। এই জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পেতে আমার নেতাকর্মী, সমর্থক, সাধারণ মানুষের দাবীর প্রেক্ষিতে প্রার্থী হয়েছি। ইনশাআল্লাহ জনগণের ভোটে আমি বিপুল ভোটেই নির্বাচিত হতে পারবো বলে বিশ্বাস করি। আর আমি নির্বাচিত হলে আমার প্রথম কাজ হবে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা। অবহেলিত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক দীক্ষা গুরু প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য আহমেদ তফিজ উদ্দিনের একজন শীর্ষ্য হয়ে তার সততা, মেধা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার মান ধরে রাখতে চাই। সাধারণ মানুষের ভোটে যদি আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারি তাহলে উপজেলাবাসীকে আধুনিক মডেল ও যুগোপযোগী সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ উপজেলা উপহার দিতে চাই।