বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : এবার অর্ধশত বিচারক ভারত সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তারা ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি ও একটি স্টেট একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেবেন। প্রতিষ্ঠানটি ভারতের ভূ-পালে অবস্থিত।
এরই মধ্যে বিচারিক আদালতের বিভিন্ন পদে কর্মরত ৫০ বিচারককে ভারত সফরের অনুমতি দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ অনুমতি দেয়া হয়েছে-মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, প্রশিক্ষণের জন্য সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এসব বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা আগামী ৬ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নেবেন। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩ এ বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৬ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি, ভূপাল ও একটি স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৫০ বিচারককে অনুমতি দেয়া হলো। প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই।
২০১৭ সালের এপ্রির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ওই সমঝোতা স্মারকের পর একই বছরের ২৯ জুলাই এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘প্রথিবীর প্রত্যেকটা দেশে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ভারতের প্রত্যেকটা রাজ্যে একটি জুডিসিয়ারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ট্রেনিংয়ের জন্য। ভূপালে তাদের জাতীয় জুডিসিয়ারি একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১৫-১৬ বিচারকের ট্রেনিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।’
এরপর প্রথমবারের মতো ওই বছরের ১০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। পর্যাযক্রমে ইতোমধ্যে অনেক বিচারক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।