বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের সেবা আইনের আওতায় নিয়ে আসবে সরকার। সেবা প্রাপ্তিতে অসন্তুষ্ট হলে করা যাবে অনলাইনে অভিযোগ। ছড়ানো যাবে না মিথ্যা বার্তা।
টেলিযোগাযোগ সুবিধা বঞ্চিত এলাকায় টেলিযোগাযোগ সুবিধা স্থাপনের লক্ষ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা নামে একটি তহবিল গঠন করা হবে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন, ২০২৪-এর খসড়ায় এসব কথা বলা হয়েছে। দেশে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সেবার মান উন্নয়ন ও দক্ষ নিয়ন্ত্রণে আইনটি করছে সরকার।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন, ২০২৪-এর খসড়া ইতোমধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এবং অংশীজনদের মতামত গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছে। নতুন আইনটি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন, ২০০১-কে প্রতিস্থাপন করবে, যা ২০০৬ এবং ২০১০ সালে দুবার সংশোধন হয়েছে। সরকার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এটি একটি প্রাথমিক খসড়া। আইনটি চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা এবং মতামত নেওয়া হবে। এ আইনের লক্ষ্য হলো আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগকে উৎসাহিত, ব্যবসার সুযোগ সহজতর, বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। খসড়ায় বলা হয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া কেউ বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা চালু বা ইন্টারনেট সেবা প্রদানের যন্ত্রপাতি স্থাপন বা পরিচালনা করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড বা ৩০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির বিকাশে কমিশন, টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে নতুনত্ব ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে উৎসাহিত এবং সহজ করতে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং নির্ধারিত সময়ের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যা ব্যবহারকারী এক বা একাধিক নতুন পণ্য, পরিষেবা এবং ব্যবসায়িক মডেল চালু করতে পারবে। খসড়ায় বলা হয়েছে, টেলিযোগাযোগ সেবা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গ্রাহক তার অসুবিধা বা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে টেলিফোন বার্তার মাধ্যমে বা লিখিতভাবে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন। অভিযোগ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে অনুসন্ধান করে সেবা প্রদানকারীর করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দেবে কমিশন। গ্রাহক স্বার্থ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কোনো প্রকার বিশেষ বার্তা পাঠানোর আগে ব্যবহারকারীর অনুমতি নিতে হবে। কোনো গ্রাহক সেবা গ্রহণের সময় মিথ্যা বা অসত্য এবং তথ্য গোপন অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির পরিচয় ব্যবহার করতে পারবে না। কোনো ব্যক্তি টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মিথ্যা বা প্রতারণামূলক বিপদসংকেত, বার্তা বা আহ্বান করলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ১০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। টেলিযোগাযোগ আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি চাঁদা আদায়ের উদ্দেশে টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে অন্য কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের কাছে অশ্লীল, গুরুতরভাবে অপমানকর, হুমকিমূলক কোনো বার্তা বা অন্য কোনো ভীতিকর বার্তা, ছবি, ছায়াছবি পাঠালে যন্ত্র পরিচালনাকারী ও প্রস্তাবকারী ব্যক্তির দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ কোটি টাকা জরিমানা হবে। যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কাউকে বারবার টেলিফোন করে বিরক্ত বা অসুুবিধা সৃষ্টি করলে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে আইনের খসড়ায়।