বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ ও চীনা সেনাবাহিনী আগামী মাসে প্রথমবারের মতো যৌথ সামরিক মহড়া করবে। বৃহস্পতিবার চীনা কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দিয়েছে। এ খবরের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ওই মহড়ার দিকে ভারত নজর রাখবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য চীন ও ভারতের মধ্যে প্রতিযোগিতা রয়েছে। বৃহস্পতিবার চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া ও ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই এ খবর দিয়েছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল উ কিয়ান সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন, দুই সামরিক বাহিনীর মধ্যে ঐকমত্য অনুযায়ী, পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) যৌথ সামরিক মহড়ার জন্য আগামী মাসের প্রথমার্ধে একটি দল বাংলাদেশে পাঠাবে।
‘চীন-বাংলাদেশ গোল্ডেন ফ্রেন্ডশিপ ২০২৪’ নামের এ যৌথ মহড়াটি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নীতির আলোকে পরিচালিত হবে।
কর্নেল উ কিয়ান বলেন, দুই দেশের সামরিক বাহিনী বাস ছিনতাই ও সন্ত্রাসী শিবির নির্মূল ইত্যাদি বিষয়ে মিশ্র গ্রুপে যৌথ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবে। প্রথমবারের মতো চীনা ও বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর এ যৌথ প্রশিক্ষণ পরিচালনা পারস্পরিক বোঝাপড়া ও বন্ধুত্বকে বৃদ্ধি করবে এবং ব্যবহারিক বিনিময় ও সহযোগিতাকে আরও গভীর করবে বলে মন্তব্য করেন কর্নেল উ কিয়ান।
পিটিআই জানায়, চীন বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে পাকিস্তানের পরেই এটা সর্বোচ্চ। বাংলাদেশকে যুদ্ধের ট্যাঙ্ক, নৌবাহিনীর ফ্রিগেট, মিসাইল বোট, জঙ্গি বিমান ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে ঢাকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্কও উন্নত করেছে চীন। এতে ভারত চিন্তিত।
এদিকে বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ সামরিক মহড়ার বিষয়ে দিল্লিতে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, প্রতিবেশী দেশ কিংবা অন্যত্র এ ধরনের মহড়ার ওপর ভারত সব সময় দৃষ্টি রেখে চলে।
এদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ নিয়ে মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা বহুবার আমাদের কথা জানিয়েছি। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অথবা অন্য কোথাও সব ধরনের ঘটনার ওপর আমরা নজর রাখি। বিশেষ করে সেই ধরনের ঘটনা, যা আমাদের অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ওপর যা প্রভাব ফেলতে পারে। সেই সব বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করে থাকি।’