বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : আদালতে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একটিই কাজ-ওই কুলাঙ্গারটাকে ফেরত নিয়ে আসা। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি, সাজাপ্রাপ্ত, গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি, সাজাপ্রাপ্ত, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন সে (তারেক জিয়া) যেখানেই থাকুক, আমরা তাকে নিয়ে আসব।
ইতোমধ্যে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, ওই সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক জিয়াকে যেন ফেরত দেয়। আমরা তাকে নিয়ে এসে সাজা কার্যকর করব। দেশের মানুষ জঙ্গিবাদ ও অগ্নিসন্ত্রাসীদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার গণভবনে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ওই সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি, যারা বিদেশে পলাতক, তাদেরও ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করা এবং দেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি এবং দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখাই আমার লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।
নিজ নির্বাচনি এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, তাদের জবাব দিতে হবে। সেই দায়িত্বটাও নিতে হবে আমার নির্বাচনি এলাকা কোটালীপাড়া টুঙ্গিপাড়ার মানুষকে। যে যেখানে আছে, এটি সবার কাছে প্রচার করতে হবে। এটি খুবই দরকার।
তিনি বলেন, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যদি আমাকে সাহায্য না করতেন, তাহলে আমি এত কাজ করতে পারতাম না। আমি নিশ্চিত, আমার এলাকা নিয়ে আমার কোনো চিন্তা নেই, আপনারা আছেন, আমি দেশের জন্য কাজ করি।
কলকাতায় মুজিব’র খসড়া দেখলেন প্রধানমন্ত্রী : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীভিত্তিক ডকুমেন্টারি ‘কলকাতায় মুজিব’-এর খসড়া দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকালে গণভবনে তথ্যচিত্রটির খসড়া কপি অবলোকন করেন তিনি।
শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনে কলকাতা মহানগরীর বড় ভূমিকা রয়েছে। সেই বিষয়টি উপজীব্য করেই ‘কলকাতায় মুজিব’ শীর্ষক তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কেএম শাখাওয়াত মুন জানান, প্রধানমন্ত্রী ‘কলকাতায় মুজিব’ তথ্যচিত্রটি দেখেন এবং এর নির্মাণসংশ্লিষ্টদের এ সম্পর্কে তার মতামত ও বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
বঙ্গবন্ধুর কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়া, বেকার হোস্টেলে থাকা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে রাত কাটানো, পার্ক সার্কাসে ঘুরে বেড়ানো, ব্রিগেডের ময়দানে তার আগুন ঝরানো ভাষণ-এমন আরও অনেক কিছু বঙ্গবন্ধুর প্রিয় শহরের অলিগলি থেকে তুলে এনে তথ্যচিত্রে ক্যামেরাবন্দি করছেন গৌতম ঘোষ।