বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। জনমুখী প্রশাসনের জন্য প্রথাগত আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে কাটিয়ে উঠতে হবে। এমন নির্দেশনা সচিবদের প্রতি ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। গত ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে একগুচ্ছ নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান। এক মাস পর গত ৭ মার্চ সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সচিবদের মনোযোগ আকর্ষণ করে চিঠি দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
ওই চিঠি পেয়ে নড়েচড়ে বসছেন সচিবরা। এতদিন রুটিনওয়ার্ক করে পেরিয়ে গেলেও এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদারকিতে সোচ্চার হয়েছেন তারা। কারণ, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের চিঠিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আপনার মন্ত্রণালয়-বিভাগ হতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণপূর্বক আমাকে অবহিত করতে আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ
সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নিয়মিত কাজের অংশ। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নির্দেশনা ও সিদ্ধান্তসমূহের প্রতি ব্যক্তিগত মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়। সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে তারা কী উদ্যোগ নিয়েছেন তা অবহিত করতে বলা হয়।
জানা গেছে, সচিবদের সঙ্গে ওই বৈঠকে ৩৪টি দিকনির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের নির্দেশ দিয়ে তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। বলা হয়, সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে মূল্যস্ফীতি হ্রাসে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করতে হবে। মূল্যস্ফীতির হার যেন প্রবৃদ্ধির হারের নিচে থাকে, সে লক্ষ্যে সমম্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। নিত্যপণ্যের সরবরাহ পরিস্থিতি এবং বাজারব্যবস্থা নিয়মিত পরিবীক্ষণ করতে হবে। রাজস্ব বৃদ্ধিসহ কর ফাঁকি রোধ করতে হবে। রপ্তানি বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে আসবাবপত্র, পাটজাত দ্রব্য, হস্ত-কারুশিল্পকে গার্মেন্টস শিল্পের ন্যায় সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রা যেন অযথা ব্যয় না হয়, অহেতুক ব্যয়বহুল প্রকল্প গ্রহণ না করা এবং তিন ফসলি জমি নষ্ট না হয় প্রভৃতি।