বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বিলম্ব হলেও একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের এখনই উপযুক্ত সময় এবং সবার সম্মিলিত প্রয়াস থাকলে এ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় হবেই।
গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের বিশেষ সেমিনার রুমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এবং সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিসের যৌথ উদ্যোগে ‘ইন্টারন্যাশনাল রিকগনিশন অব দ্য ১৯৭১ বাংলাদেশ জেনোসাইড’-শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আমরাই একমাত্র জাতি যারা অনেক রক্তের বিনিময়ে দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে চিরতরে দমিয়ে দিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালে এ দেশে বর্বর ও নির্মম গণহত্যা চালায়। পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোনো দেশে এত অল্প সময়ে এ রকম কোনো গণহত্যা ঘটেনি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই নারকীয় গণহত্যার এখনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে সংঘটিত এ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘটিত গণহত্যার চিত্র বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ১৯৭১ সালে সারা দেশে যেভাবে হত্যা, নির্যাতন ধর্ষণ হয়েছে- তা গণহত্যার যেসব শর্ত, তার সবই পূরণ করে। এই ন্যক্কারজনক গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের রিস্ক অ্যান্ড ডিজাস্টার রিডাকশন ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. বায়েস আহমেদ উক্ত কর্মশালার বিষয়বস্তু তুলে ধরেন। এ সময় তিনি প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭১ সালে হওয়া শিক্ষক হত্যার বিষয়টি তুলে ধরেন। এ সময় কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইতিহাসবিদ এবং সাহিত্যিক মুনতাসীর মামুনসহ সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।