বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে তিন মন্ত্রীর বৈঠকে আলু ও পিঁয়াজের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ এবং ডিমের দাম সহনীয় রাখতে বাজারে মনিটরিং বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কৃষিপণ্যের উৎপাদন ও দ্রবমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে তিন মন্ত্রীর এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় কৃষি মন্ত্রণালয়ে। কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। সূত্র জানায়, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রণালয়গুলোকে যে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি ছিল সেই ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ। এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠকের পর গতকাল কৃষি মন্ত্রণালয়ে তৃতীয় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের শুরুতে নিত্যপ্রয়োজনীয় ১০টি পণ্যের বাংলাদেশ ও ভারতের তুলনামূলক মূল্য পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। এ সময় দেখা যায়- আলু, পিঁয়াজ, চিনি, ডাল ও ডিম ভারতের তুলনায় অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশে।
আলু ও পিঁয়াজের আমদানি উন্মুক্ত থাকার পরও কেন দাম কমছে না-এ বিষয়টি জানতে চান মন্ত্রীরা। এ সময় জানানো হয়, এ দুটি পণ্য আমদানিতে শুল্ক বিদ্যমান থাকায় আমদানিকারকরা আমদানি করছেন না। এ ছাড়া মৌসুমের শুরুতে দাম পাওয়ার আশায় কৃষক পর্যায়ে আলু ও পিঁয়াজের মতো পণ্য দুটি সংরক্ষণ করার কারণে বাজারে সরবরাহ কিছু কমেছে। এতে ভরা মৌসুমেও দাম বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে আলু ও পিঁয়াজের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক সাময়িকভাবে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক। এ ছাড়া পণ্য দুটি দ্রুত আমদানি বাড়ানোর বিষয়েও মতামত জানান তিনি। সিদ্ধান্ত হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যত দ্রুত সম্ভব আলু-পিঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহারে প্রস্তাব পাঠাবে এনবিআরে। বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সামনে ঈদুল আজহায় যাতে কোনো পণ্যের সংকট না হয়, কেউ যাতে আধিক মুনাফার লোভে বাজার অস্থির করতে না পারে, সেজন্য করণীয় নির্ধারণে আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করতেই বৈঠক করেছি। বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আলুর উৎপাদন কম হলেও আমদানি উন্মুক্ত আছে। পিঁয়াজ আমদানি উন্মুক্ত আছে, কোনো সমস্যা হবে না।
ডিম মজুত করার বিষয়টি তদারকি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, হিমাগারে ডিম মজুত রাখার খবর আমরা পাচ্ছি-এ বিষয়ে তদারকি করা হচ্ছে। আমাদের সচিবরা সব সময় কোনো না কোনো ডিসিকে ফোন করছেন; খোঁজখবর রাখছেন। আমরা কেউ বসে নেই। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক, কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রমুখ।