ডলার সংকট কাটাতে অফশোর ব্যাংকিংয়ে আবগারি শুল্ক অব্যাহতি

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দেশের বিদেশি মুদ্রা অর্জন হয় রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স এবং বিদেশি ঋণ ও বিনিয়োগ থেকে। ডলার সংকট কাটাতে সরকার অফশোর ব্যাংকিংয়ে ডলার আমানতের মাধ্যমে নতুন আয়ের উৎস তৈরি করার পদক্ষেপ নিয়েছে। এজন্য অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে আমানতকারীদের হিসাবের ওপর আরোপিত আবগারি শুল্ক অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের সময় এ পদক্ষেপের কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, অফশোর ব্যাংকিং আইন, ২০২৪ (২০২৪ সালের ২নং আইন)-এর অধীনে পরিচালিত অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের আওতাধীন আমানতকারী বা বৈদেশিক ঋণদাতাদের হিসাবের ওপর আরোপনীয় সমুদয় আবগারি শুল্ক অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করছি।

এই পদক্ষেপ ডলার সরবরাহে কতটা কার্যকর হবে—জানতে চাইলে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন কালবেলাকে বলেন, অফশোর ব্যাংকিংয়ে ডলার জমার বিষয়টি খুব বেশিদিনের নয়। এ কারণে এটি এখনো জনপ্রিয় হয়নি। যদিও এটা অনেকদিন থেকে চালু ছিল। কিন্তু এটার সুদের হার খুব বেশি ছিল না। আবার তার ওপর থেকে বিভিন্ন চার্জ কেটে তা খুব একটা লাভজনক ছিল না। এ কারণে প্রবাসীরা এখানে ডলার জমা রাখতে আগ্রহীও হয়নি। যেহেতু ডলার সংকটের সময় এখন, সেহেতু অবসর ব্যাংকিংয়ে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এটা ভালো দিক।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এটি দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট। প্রস্তাবিত এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত এ বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। সরকার অভ্যন্তরীণ ঋণ নেবে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এরপর সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। অন্যান্য খাত থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা নেবে সরকার। প্রস্তাবিত বাজেটে বৈদেশিক ঋণ হিসেবে নেবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে যা আছে ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত এ বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। কর বহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্য ১৫ হাজার কোটি টাকা, কর ছাড়া প্রাপ্তি ৪৬ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহ হবে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

ডলার
Comments (0)
Add Comment