বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ছেলের ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা মতিউর রহমানের দুর্নীতির প্রাথমিক গন্ধ পেয়ে তার বিরুদ্ধে এখন ত্রিমুখী শাস্তিমূলক ব্যবস্থায় নেমেছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার তাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করতে শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক)। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে। একই কাণ্ডে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জেরে গত বৃহস্পতিবারই অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ স্বউদ্যোগী হয়ে তাকে সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ পরিচালক পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আরও খবর হচ্ছে, খুব শিগগির মতিউরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবে এনবিআর। এমনকি তার সম্পদ জব্দ করার মতো পদক্ষেপও ভাসছে আলোচনায়।
এনবিআর সদস্য পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো: আলোচিত ছাগলকাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মতিউর রহমানকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে (আইআরডি) সংযুক্ত করা
দুদক সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনকে। এ ছাড়া কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক (যাবাক) মাহমুদুল হাসান ও উপসহকারী পরিচালক (যাবাক) সাবিকুন নাহার।
এর আগেও মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে চারবার দুদকে অভিযোগ এসেছে এবং প্রতিবারই তাকে ক্লিন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। তাহলে কি আগের কর্মকর্তারা তদন্তকাজ ঠিকমতো করেননি—এমন প্রশ্নে দুদক সচিব বলেন, ‘আগে তার বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ উঠেছে, কারা তদন্ত করেছে, তখন অভিযোগের মাত্রা কেমন ছিল—সব বিষয়ই খতিয়ে দেখা হবে। সেইসঙ্গে মতিউরের দুর্নীতির সঙ্গে কারও পৃষ্ঠপোষকতা বা যোগসাজশ আছে কি না—সব বিষয়েই খতিয়ে দেখা হবে।