বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ২০২৬ সালের মধ্যে ইডিএলএমএস প্রকল্পের আওতায় চলমান ডিজিটাল ভূমি জরিপ (বিডিএস) কাজ শেষ করার জন্য প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে বিডিএসের আওতাভুক্ত ‘এস্টাব্লিসমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইডিএলএমএস)’ প্রকল্প এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা এই প্রকল্পের সহযোগী সংস্থার কর্মকর্তারা প্রকল্পের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে জানাতে ভূমিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি তাদের এই নির্দেশনা দেন।
প্রকল্প কর্মকর্তারা ভূমিমন্ত্রীকে জানান, বিডিএস কার্যক্রমের ৩৭ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। ইডিএলএমএস প্রকল্প এলাকায় পিলার বসানোর কাজ শেষ হয়েছে এবং প্লট টু প্লট জরিপকাজ শুরু হবে। তারা আরও জানান, নির্ধারিত এলাকায় সময়ের মধ্যেই ইডিএলএমএস প্রকল্পের আওতায় বিডিএস অপারেশনের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ডিজিটাল জরিপ বিশেষজ্ঞরা ভূমিমন্ত্রীকে জানান, তারা বাংলাদেশে অন্যান্য এলাকায় ডিজিটাল ভূমিজরিপ পরিচালনার পাশাপাশি ল্যান্ড ভ্যালুয়েশন (ভূমি মূল্যায়ন) নিয়েও কাজ করতে ইচ্ছুক। এ সময় ভূমিমন্ত্রী সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কথা বলেন।
ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে— চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা এবং ধামরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ইডিএলএমএস প্রকল্পের (এস্টাব্লিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প) মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জিএনএসএস, টোটাল সার্ভে সিস্টেম, ড্রোন, ওরাকল ডাটা ও জিআইএস সফটওয়্যারসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষিণ কোরীয় সহায়তায় ইডিএলএমএস প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমানে বিডিএস পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায় থেকে প্রয়োজনীয় আউটপুট নিয়ে দ্বিতীয় ধাপে সারা বাংলাদেশে একযোগে বিডিএস প্রোগ্রাম চালু করা সম্ভব হবে।
বিডিএস বাস্তবায়িত হলে ভূমি জরিপ, ভূমি ব্যবস্থাপনা অফিসের মধ্যে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠাসহ অটোমেশন ব্যবস্থার প্রবর্তন হবে। মৌজা-ম্যাপ ও রেকর্ডের মধ্যে লিংকেজ প্রতিষ্ঠার ফলে ভূমির মালিকরা সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে রেকর্ড ও প্লট দেখার সুযোগ পাবে। ভূমি জরিপ ও ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে বিধায় জনদুর্ভোগ কমবে এবং দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি হবে। বিডিএস কার্যক্রমে একই সঙ্গে অনলাইনে মৌজা-ম্যাপ ও খতিয়ান পাওয়া যাবে। ১৫ দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সৃষ্ট দাগ সংশোধনের নকশাসহ খতিয়ান তৈরি হবে বলে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
এ সময় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খলিলুর রহমান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ এবং ইডিএলএমএস প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জহুরুল হকসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্যামসাংয়ের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জিহওয়ান মিন এবং জিওমেক্সসফটের সিইও ড. জেয়ইয়ং ইউ।