জাহিদ হাসান নিশান : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যখন সারা দেশ উত্তাল,তখন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে একটু পরে হলেও রাজপথে নেমে আসেন শিল্পী, গীতিকার, সুরকার এবং এ পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।গেট আপ, স্ট্যান্ডআপ’—স্লোগানে সেদিন ধানমন্ডি রবীন্দ্রসরবেরে একত্র হন ব্যান্ড তারকা হাসান, মাকসুদুল হক,হামিন আহমেদ,টিপু,লিংকন,ওয়ারফেজের পলাশ এবং শিরোনামহীনের ইশতিয়াকসহ আরও অনেকে।
এ আন্দোলনের গর্জন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আগেই ছড়িয়ে পড়েছিলো বিদেশেও।
গত বৃহস্পতিবার (১৮জুলাই) বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের টাইমস স্কয়ারে লক্ষ মানুষের সামনে, বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবীর প্রতি একাগ্রতা প্রকাশ এবং গুলিতে সহিংস কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজিত সমাবেশে শত শত নতুন প্রজন্ম সহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও প্রবাসী বাংলাদেশি এবং শিল্প সংস্কৃতির অনেকেই অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় তারা আন্দোলনকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। ” Save Bangladeshi Students ” এই সমাবেশের মূল স্লোগানে ভারী হয়ে ওঠে নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ার ।
এই সমাবেশে সবার সঙ্গে কন্ঠ মেলাতে দেখা যায় জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা মিটুল হক এবং তার পুরো পরিবারকে l তাৎক্ষণিক দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান ;” দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে কোনো বিবেকবান মানুষ বসে থাকতে পারেন না, তাই তিনিও সবার সাথে ন্যায়ের পক্ষে রাজপথে নেমে এসেছেন ।” যে মিটুল হক বিদেশের মাটিতে বসেও বাংলা ব্যান্ডের গানকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন পৃথিবীময় তিনি তাঁর স্ত্রী সহ স্কুল এবং কলেজে পুড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে নিউ ইয়র্কের ব্যস্ততম রাস্তায় হাজারো বাঙালির সাথে জাতীয় পতাকা সহ প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদ করেন l
তাছাড়া জর্জিয়া থেকে ফিডব্যাক ব্যান্ডের সাবেক সদস্য রোমেল তাঁর নিজের ফেসবুকে আন্দোলনের পক্ষে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। এবং এই আন্দোলনের শুরু থেকেই বেশ সরব থাকতে দেখা যায় প্রমিথিউস ব্যান্ডের বিপ্লবকেও। বিপ্লব নিজের ফেসবুকে এই আন্দোলন নিয়ে গানও প্রকাশ করেন ।
মিটুল হক নিজের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ৪ ঠা আগস্ট কয়েকজন শিল্পীর সহযোগিতায়, এমন নেককারজনক হত্যার প্রতিবাদ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে ‘বল বীর বল উন্নত মম শির ‘ নামক একটি অনলাইন অনুষ্ঠানও পরিচালনা করেন l