সংবাদদাতা : শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্র পাবনার হিমাইতপুরস্থ সৎসঙ্গ আশ্রমে আগামী ২৩ আগষ্ট শুক্রবার এক সভা আহবানকে কেন্দ্র করে বিবদমান দু’গ্রুপের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।ওই দিন সভাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন ঠাকুরের সাধারন ভক্তবৃন্দ। এমতাবস্থায় সংঘর্ষ এড়াতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অনেকেই।
সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় সৎসঙ্গ পরিষদের নির্বাচিত কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।কিন্তু একটি চক্র বিভিন্ন সময় এই পরিষদের কাজে বাঁধা দিয়ে নতুন আরেকটি কমিটি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকও বটে।এমতাবস্থায় গত ১১ মার্চ তারিখে নির্বাচিত কমিটির আপত্তি সত্বেও তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স ও আওয়ামী লীগ নেতারা আশ্রমে গিয়ে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ভাবে মূল কমিটির মেয়াদ থাকা সত্বেও ২৯ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে দেন। তিন মাস মেয়াদী এই আহবায়ক কমিটি গঠন করলেও অদ্যবধি তারা একটি সভাও করেননি।মূল কমিটির সাথে আলাপ আলোচনা ছাড়াই সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ভাবে আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শ্রী যুগল চন্দ ঘোষ আগামী ২৩ আগষ্ট শুক্রবার একটি সভার আহবান করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে মূল কমিটির সাধারন সম্পাদক তাপস চন্দ্র বর্মণ শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ পরমতীর্থ হিমাইতপুরধাম, পাবনার ২০২৩-২০২৮ মেয়াদী কেন্দ্রীয় সৎসঙ্গ পরিষদ, ঋত্বিক পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদ বহাল উল্লেখ করে গত ১৪ আগষ্ট/২৪ একটি চিঠি দিয়ে সকল সদস্য, শীর্ষ পরিষদ(২০২৩-২৮)সহ পাবনার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং পাবনার সকল রাজনীতিবিদদের অবহিত করেন।
মূল কমিটি ও আহবায়ক কমিটির এধরনের চিঠি চালাচালি ও সভা আহবানকে কেন্দ্র করে ঠাকুরের সাধারন ভক্তদের মাঝে চরম আতংক ও ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। তাদের ধারনা আগামী ২৩ তারিখ শুক্রবার সভায় উভয় পক্ষের লোকজন এসে নিজেদের মধ্যে মারামারি এমনকি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হতে পারে। এজন্য তারা ঠাকুরের আশ্রমকে সংঘর্ষ মুক্ত করতে পাবনা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শ্রী যুগল চন্দ্র ঘোষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আশ্রমের অনিয়ম, তছরুপ ও স্বেচ্ছাচারিতা দূর করতেই এই সভার আহবান করা হয়েছে। এখানে সংঘর্ষের কোন আশংকা নেই।
সভার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গের সাধারন সম্পাদক তাপস চন্দ্র বর্মণ বলেন, তিনি কেন্দ্রীয় পরিষদের (২০২৩-২০২৮) ৫ বছর মেয়াদী কমিটির সাধারন সম্পাদক। কোনো সভা আহবান করলে তিনিই করবেন। কিন্তু সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ভাবে যুগল চন্দ্র ঘোষ আগামী ২৩ আগষ্ট উৎসবের নামে একটি সভা ডেকেছেন। এ সভায় তার একটা দূরভিসন্ধি আছে। এতে ভোক্তদের মাঝে চরম উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পুলিশ সুপার পদে পদেন্নোতি) মো: মাসুদ আলম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই তাকে বলেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা এই মুহূর্তে কোথায়ও কোন সংঘর্ষ, মারামারি হওয়ার আশংকা থাকলে সেই সভা বন্ধ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রমের উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তী সভার ব্যবস্থা করা হবে।